আগাম ভোট শুরু, গাজার বিষয়েও মত যাচাই

সঙ্গী ক্লার্ক গ্যাফোর্ডকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া




নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগাম ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই নির্বাচনে বিনোদনের জন্য গাজা সেবনের বৈধতা ও যন্ত্রণামুক্ত মৃত্যু নিশ্চিতে ওষুধ প্রয়োগের বিষয়েও মতামত দেবেন ভোটারেরা।
নিউজিল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচন ১৭ অক্টোবর। তবে আগাম ভোট শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে।

আগাম ভোট গ্রহণের জন্য নিউজিল্যান্ড জুড়ে ৪৫০টি ‘অগ্রিম ভোট কেন্দ্র’ খোলা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দেশটিতে আগাম ভোটদান দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। ২০১৭ সালের নির্বাচনে আগাম ভোট পড়ে ৪৭ শতাংশ। যা চলতি নির্বাচনে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।

জেসিন্ডা শনিবার সকালে ভোট দিয়েছেন। এক ফেসবুক বার্তায় তিনি জানান, ভোট দেওয়ার জন্য কোনো লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে না, দ্রুত ও সহজেই ভোট দেওয়া যাচ্ছে।

করোনা সংকটে সফলতা দেখানোয় প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন (৪০) ও তাঁর দল লেবার পার্টি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রিনস ও নিউজিল্যান্ড ফার্স্ট দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে সরকার পরিচালনায় রয়েছে জেসিন্ডার দল। এই জোটের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে রক্ষণশীল দল ন্যাশনাল পার্টি।


চলমান করোনা মহামারি ছাড়াও জেসিন্ডা আরডার্ন নিজ দেশ ও বিশ্বব্যাপী ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছেন। বিশেষ করে গত বছর মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা পরবর্তী তাঁর ভূমিকা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সব মিলিয়ে জেসিন্ডাকে দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। জনপ্রিয়তার হিসাব ভোটে প্রতিফলিত হলে জোট ছাড়াই জেসিন্ডার লেবার পার্টি এককভাবে সরকার গঠন করতে পারবে। তবে সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পার্টির নেতা জুডিথ কলিন্সকে হারাতে তাঁর জোটের প্রয়োজন হতে পারে।