আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে অন্তত ১০০টি ট্যাংকার বিস্ফোরিত হয়েছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে ইরান সীমান্তের ইসলাম-কালা বন্দরে গত শনিবার বিকেলে তেলবাহী একটি ট্রাক বিস্ফোরিত হয়। এরপরই বন্দরে জড়ো হওয়া ট্যাংকারগুলোতে আগুন ধরে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়।
হেরাত প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিক শেরজাই বলেন, এ পর্যন্ত ১৭ জন আহত হয়েছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই ট্যাংকারগুলো হ্নিফ মেরওয়ান নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ছিল। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আহমাদ তারিক সালেহ বলেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠানের ২১টি ট্যাংকার ইতিমধ্যে পুড়ে গেছে।
আফগানিস্তান এসব ট্যাংকার দিয়ে ইরান থেকে জ্বালানি তেল ও গ্যাস আমদানি করে। ইরান থেকে যেসব দেশ তেল আমদানি করে থাকে তার মধ্যে অন্যতম আফগানিস্তান। ইরানের তেল আমদানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আফগানিস্তানের জন্য অনেকটা শিথিল। শর্ত হলো, সেই তেল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করতে পারবে না।
এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে সাবধানতার অংশ হিসেবে ইরান থেকে হেরাত প্রদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। হেরাত প্রদেশের মুখপাত্র জিলানি ফরাদ বলেন, রাতভর পুরো শহর অন্ধকারে ছিল।
আমাদের সব বাহিনী ও দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
আফগানিস্তানের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কীভাবে এই ট্যাংকারগুলো বিস্ফোরিত হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি।
শনিবার সন্ধ্যায় কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেন, এই বিস্ফোরণের পরপরই সীমান্তে জড়ো হওয়া গাড়িগুলোয় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা আরও ট্যাংকার এই আগুনে পুড়ে যেতে পারে। তবে হেরাতের কর্মকর্তারা বলেছেন, গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, প্রায় ৫০০ ট্যাংকার পুড়ে যেতে পারে— এই তথ্য তাঁরা নিশ্চিত করতে পারছেন না। আফগানিস্তান সীমান্তের উল্টো দিকে ইরানের শুল্ক চৌকিতেও এই আগুন ছড়িয়েছে।