গাজায় আল-জাজিরা ও এপির কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিল ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস হয়েছে আল–জাজিরা ও এপিসহ আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের কার্যালয়ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় ধুলায় মিশে গেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার কার্যালয়। হামলার শিকার ভবনটিতে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসসহ (এপি) আরও বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কার্যালয় ছিল।

১১ তলা ভবনটির নাম আল–জালা। পরপর তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানে ভবনটিতে।
ছবি: রয়টার্স

স্থানীয় সময় আজ শনিবারের এই হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঠিক কী কারণে ভবনটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে, এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে কিছু বলা হয়নি।

আল–জাজিরায় প্রকাশিত লাইভ ভিডিও সম্প্রচারে দেখা যায়, বোমার আঘাতে আল-জালা নামের ১১ তলা ভবনটি ধসে এক পাশে কাত হয়ে পড়েছে।

গাজা থেকে আল–জাজিরার প্রতিবেদক শাফওয়াত আল-কাহলাউত বলেন, বোমা হামলার ঘণ্টাখানেক আগে ভবনটির এক বাসিন্দাকে ইসরায়েলি বাহিনী থেকে আসন্ন হামলার বিষয়ে হুঁশিয়ার করা হয়েছিল।

ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের পর কাত হয়ে ধসে পড়ছে ভবনটি
ছবি: রয়টার্স

তখন আল-কাহলাউত নিজে ওই ভবনে ছিলেন। তিনি বলেন, তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা যতটা সম্ভব নিজেদের এবং অফিসের জিনিসপত্র, বিশেষ করে ক্যামেরা সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ওই ভবনে তিনি ১১ বছর ধরে কাজ করেছেন। প্রায়ই তিনি ভবনের ছাদ থেকে লাইভ প্রতিবেদন করেছেন। ভবনটিতে পরপর তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করে বলে তিনি জানান।

হামলায় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে ১১ তলা ভবনটি
ছবি: রয়টার্স

আল–জাজিজার সাংবাদিক আল-কাহলাউত বলেন, ‘এই ভবন থেকে আমি অনেক ঘটনার খবর প্রচার করেছি। এখানে সহকর্মীদের সঙ্গে আমাদের অনেক সুখস্মৃতি রয়েছে।’

আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৯টি শিশু ও ২২ জন নারী রয়েছেন। এদিকে গাজা থেকে হামাসের ছোড়া রকেটে ইসরায়েলে এ পর্যন্ত ৯ জন নিহত হয়েছেন।