ইয়েমেনে ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে: জাতিসংঘ

কয়েক বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে ইয়েমেনে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ
ফাইল ছবি: রয়টার্স

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে চলমান সংঘাত ও মানবিক সংকট সহসাই থামছে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে ২০৩০ সাল নাগাদ সংঘাত, ক্ষুধা ও দারিদ্রে প্রায় ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

মঙ্গলবার প্রকাশিত ইউএনডিপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষে ইয়েমেনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৩ লাখ ৭৭ হাজারে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু। মূলত বিমান হামলা ও সংঘাতের মতো প্রত্যক্ষ এবং সংক্রামক রোগ, ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের মতো পরোক্ষ কারণে দেশটিতে মৃত্যুর এসব ঘটনা দেখা যেতে পারে বলে মনে করছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে ইউএনডিপি বলেছে, ৬০ শতাংশ মৃত্যু ঘটতে পারে পরোক্ষ কারণে।

আরও পড়ুন

এই বিষয়ে ইউএনডিপির প্রশাসক আচিম স্টেইনার বলেন, ‘ইয়েমেনে যুদ্ধের ময়দানের তুলনায় রোগ–শোক–ক্ষুধায় বেশি মানুষের মৃত্যুর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটা ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকট। এই সংকট নিরসনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

আরও পড়ুন

ইয়েমেনে ২০১৪ সাল থেকে সংঘাত চলছে। ওই সময় রাজধানী সানাসহ দেশটির উত্তরাঞ্চলের বিশাল এলাকা দখলে নেয় হুতি বিদ্রোহীরা। মানসুর হাদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে হুতিরা। এর পর থেকে দেশটিতে সরকারি বাহিনী ও হুতি বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। ২০১৫ সালের মার্চে হাদি সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ করে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট।

এই লড়াই এখনো থামেনি। দেশটিতে প্রতিদিনই সংঘাতে রক্ত ঝড়ছে। দেশটিতে কয়েক বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। এই পরিস্থিতি ইয়েমেনকে বিশ্বের সবচেয়ে শোচনীয় মানবিক সংকটের মুখে ফেলেছে। জাতিসংঘের মতে, দেশটিতে অন্তত ১ কোটি ৫৬ লাখ মানুষ অনাহারে রয়েছেন।