উত্তর কোরিয়ায় বন্যায় হাজারের বেশি ঘর বিধ্বস্ত

বন্যায় উত্তর কোরিয়ার অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে।
ছবি: রয়টার্স

ভারী বৃষ্টিতে উত্তর কোরিয়ায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজারের বেশি ঘরবাড়ি, তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে দেশটির পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিটিভির বরাত দিয়ে আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

কেসিটিভির এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বন্যাকবলিত এলাকায় পানি প্রায় বাড়ির ছাদ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি সেতু। দেশটির হ্যামগিউ প্রদেশে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানির নিচে চলে গেছে রাস্তাঘাট। প্রদেশটিতে নদীর তীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণে নির্মাণ করা বাঁধগুলোও ভেঙে পড়েছে।

দক্ষিণ হ্যামগিউ প্রদেশে বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলোয় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সহায়তা পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছেন বলে রোববার কেসিএনএর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছেন উত্তর কোরিয়ার আবহাওয়া অফিসের উপপ্রধান রি ইয়ং ন্যাম। তিনি বলেন, আরও বৃষ্টিপাত বন্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

চলমান বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই তীব্র খাদ্যসংকটে ভুগছে উত্তর কোরিয়া। গত জুনে খাদ্যসংকটের কথা স্বীকার করে দেশটির সরকার। দীর্ঘ সময় ধরেই দেশটির কৃষিব্যবস্থা ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। এর জেরে দেশটির খাবারের জোগান মেটাতে হিমশিম খেতে হয় পিয়ংইয়ংকে।

গত মাসে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানায়, চলতি বছরে উত্তর কোরিয়ায় ৮ লাখ ৬০ হাজার টন খাদ্যের সংকট রয়েছে। এর জের ধরে দেশটি কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

দুর্বল অবকাঠামো এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে প্রায় বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত বেশি প্রকট হয় উত্তর কোরিয়ায়। নির্বিচারে বন উজাড় দেশটিতে বন্যার ঝুঁকি বহু গুণে বাড়িয়ে তুলেছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।