একাধিক বিয়ে পরিহারে তালেবান সর্বোচ্চ নেতার নতুন ডিক্রি
আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তাদের একাধিক বিয়ে থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়ে নতুন আদেশ জারি করেছেন ক্ষমতাসীন তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
গতকাল শুক্রবার টুইটারে আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের পোস্ট করা দাপ্তরিক নির্দেশনায় বলা হয়, ‘ইসলামিক আমিরাতের সর্বোচ্চ নেতা মৌলভি হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা নতুন আদেশে ইসলামিক আমিরাতের সদস্যদের দুটি, তিনটি অথবা চারটি বিয়ে পরিহারের নির্দেশনা দিয়েছেন, যা অপ্রয়োজনীয় ও ব্যয়বহুল।’
ক্ষমতায় আসার আগে গত বছরের জানুয়ারিতে একই ধরনের এক আদেশে নেতা ও কমান্ডারদের একাধিক বিয়ে করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল তালেবান। তখন বলা হয়েছিল, এ ধরনের অনুশীলন ‘আমাদের শত্রুদের সমালোচনার সুযোগ করে দেয়।’
‘বহু অভিযোগের’ কারণে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে ভয়েস অব আমেরিকা জানিয়েছে। বিয়ের মোহরের অর্থ জোগাড় করতে কিছু তালেবান কর্মকর্তা তাঁদের ঊর্ধ্বতনদের দ্বারস্থ হন।
সূত্র জানায়, ‘আফগানিস্তানের কিছু অংশে ২০ লাখ আফগানি (২৬ হাজার ডলার) পর্যন্ত মোহর দেওয়ার প্রচলন আছে। তালেবান কর্মকর্তারা দ্বিতীয় বিয়ের জন্য এই অর্থ জোগাড় করতে চান।’
গত বছরের ডিসেম্বরে নারী অধিকার নিয়ে একটি আদেশ জারি করে তালেবান সরকার। এতে বলা হয়, নারীদের ‘সম্পত্তি’ মনে করা উচিত নয়। বিয়েতে অবশ্যই তাঁদের সম্মতি থাকতে হবে।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়, ‘একজন নারী কোনো সম্পত্তি নয়, বরং একজন মহৎ ও স্বাধীন মানুষ। শান্তির বিনিময়ে...কিংবা শত্রুতা অবসানের উদ্দেশ্যে কেউ একজন নারীকে অন্যের হাতে তুলে দিতে পারেন না।’
গত বছরের মধ্য আগস্টে তালেবান ধর্মীয় গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসার পর তাদের আগের আমলের মতো নারী অধিকার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। দেশটিতে এরই মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করতে পারছে না মেয়েরা। নারীদের চাকরি করা ও বাইরে বের হওয়ার ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।