এখনো কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী তুরস্ক
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে এখনো প্রস্তুত রয়েছে তুরস্ক।
গত জুন মাসের প্রথম দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হয়। এরপর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আফগানিস্তানে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের উপস্থিতি বজায় রাখতে কাবুল বিমানবন্দরের মুখ্য ভূমিকা রয়েছে।
তালেবানের হাতে গত রোববার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন ঘটে। আফগানিস্তান তালেবানের দখলে যাওয়ার পর দেশটির হাজারো নাগরিক কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় করেন। তাঁরা আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। এতে কাবুল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে তুরস্ক আফগানিস্তান থেকে তাদের ৫৫২ জন নাগরিককে সরিয়ে নিয়ে গেছে।
কাবুল বিমানবন্দরের ভেতরে ও আশপাশে গত রোববার থেকে এখন পর্যন্ত ১২ জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ও পদদলিত হয়ে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তালেবানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
এখন আফগানিস্তানে তালেবানের অতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ফলে তুরস্কের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কতটুকু সম্ভব হবে, এ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এর আগে তুরস্কের কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছিল।
গত বুধবার টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক এখনো কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনায় আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণের পর আমাদের সামনে নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এখন নতুন বাস্তবতার আলোকে আমরা পরিকল্পনা করছি।’ এরদোয়ান আরও বলেন, তিনি তালেবান নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘যেকোনো আলোচনার জন্য আমাদের দরজা খোলা। তালেবান তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে বেশ সংবেদনশীল।’
কাবুল বিমানবন্দর এখনো মার্কিন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এর চারপাশের সড়কগুলো তালেবানের দখলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা স্থানীয় লোকজনকে বিমানবন্দরে আসতে বাধা দিচ্ছেন।