এশিয়ায় প্রথম ফাইজারের টিকা পেল সিঙ্গাপুর

সিঙ্গাপুরে করোনার টিকা নেওয়ার বিষয়টি হবে ঐচ্ছিক
ছবি: রয়টার্স

এশিয়ার মধ্যে সিঙ্গাপুর প্রথম ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাসের টিকা হাতে পেল।

গতকাল সোমবার এই টিকার প্রথম চালান সিঙ্গাপুরে আসে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো।

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকার অনুমোদন দেয় সিঙ্গাপুর।

ফাইজার-বায়োএনটেকের দাবি, তাদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর
ছবি: এএফপি

সিঙ্গাপুরে টিকার চালান আসে বেলজিয়াম থেকে। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে করে এই টিকা আনা হয়।

টিকাবাহী উড়োজাহাজ সিঙ্গাপুরে অবতরণের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নগররাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং। তিনি তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘টিকার প্রথম চালান সিঙ্গাপুরে এসেছে দেখে আমি আনন্দিত।’

প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং আরও লিখেছেন, একটা দীর্ঘ ও কষ্টকর বছর গেল। তাঁর আশা, টিকা আসার খবর সিঙ্গাপুরবাসীকে উল্লসিত করবে। আর ২০২১ সাল নিয়ে আশাবাদী হওয়া যাবে।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রায় ৫৮ লাখ অধিবাসীর সবাইকে টিকার আওতায় আনতে চায় সিঙ্গাপুর। তবে শুরুতে অগ্রাধিকার পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী, বয়স্ক মানুষ ও চিকিৎসাগতভাবে ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা।

সিঙ্গাপুরে করোনার টিকা নেওয়ার বিষয়টি হবে ঐচ্ছিক। তবে প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং জনসাধারণকে টিকা নেওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করছেন।

ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার দুটি ডোজ নিতে হয়। আর এই টিকা অন্তত মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়।

টিকা সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে সিঙ্গাপুর।

শুরুর দিকে করোনার বিস্তার ঠেকাতে সাফল্য দেখায় সিঙ্গাপুর। কিন্তু পরে বিশেষ করে অভিবাসী শ্রমিকদের মাধ্যমে করোনার বিস্তার ঘটে।

সিঙ্গাপুরে ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন মাত্র ২৯ জন।