আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গোলাগুলিতে আফগানিস্তানের এক নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ সোমবার বিমানবন্দরের উত্তর গেটে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। জার্মান সেনাবাহিনীর এক টুইটের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জার্মান সেনাবাহিনীর ওই টুইটে বলা হয়, বিমানবন্দরের উত্তর গেটে আফগান নিরাপত্তারক্ষী ও পশ্চিমা সেনা সদস্যদের সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন বন্দুকধারীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে এক আফগান নিরাপত্তারক্ষী নিহত এবং তিনজন আহত হন। তবে নিহত ওই ব্যক্তি বিমানবন্দরে পাহারার দায়িত্বে থাকা কোনো তালেবান সদস্য কিনা তা টুইটে উল্লেখ করা হয়নি।
গত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পর রাজধানী শহরটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং দেশটির বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা আফগানদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আফগানিস্তানে যাদের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা কাজ করেছে, তাঁরাও একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। এদিকে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে কাবুল বিমানবন্দরে দেশত্যাগে ইচ্ছুক হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখা গেছে। আফগানিস্তান থেকে পালাতে বিমানবন্দরে বাইরে তাদের মরিয়া হয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। যে কোনো উপায়ে বিমানবন্দরে প্রবেশের চেষ্টা চালাতে দেখা যায় তাদের।
এর আগে গতকাল রোববার কাবুল বিমানবন্দরে সাতজন আফগানের মৃত্যু হয়। হুড়োহুড়িতে তাঁদের মৃত্যু হয় বলে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। সামরিক জোট ন্যাটোর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স বলেছে, আজকের গোলাগুলিতে নিহতের ঘটনা বাদে ১৫ আগস্টের পর থেকে কাবুল বিমানবন্দরে মারা গেছেন মোট ২০ জন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, কাবুল বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ মিত্রশক্তিগুলো তাদের নাগরিক এবং আফগান সহকর্মীদের সরিয়ে নিতে সহায়তা করছে। অস্থায়ীভাবে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা। নানা দেশের সেনা সদস্যের পাশাপাশি ৯০০ ব্রিটিশ সেনাও সেখানে টহলে রয়েছে। এদিকে বিমানবন্দরের বাইরে বেশ কয়েকটি তল্লাশিচৌকি স্থাপন করেছে তালেবান। ভ্রমণের কাগজপত্র ছাড়া আফগানদের বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।