তালেবানের আফগানিস্তানে অঙ্গ কর্তন-মৃত্যুদণ্ডের বিধানের নিন্দায় যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস
ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানে শরিয়াহ আইনের বাস্তবায়ন নিয়ে তালেবানের সাম্প্রতিক বক্তৃতা-বিবৃতির বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই আইনের মধ্যে অপরাধের অভিযোগে অঙ্গ কর্তন ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান রয়েছে। বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, এই আইন মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আফগানিস্তানে মানবাধিকার নিশ্চিত করতে তাঁরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করছেন।

নেড প্রাইস বলেন, ‘আমরা কেবল তালেবানের বক্তব্য-বিবৃতিই পর্যবেক্ষণ করছি না, আফগানিস্তানে তাদের কর্মকাণ্ডও লক্ষ করছি।’

তালেবাননিযুক্ত আফগান কারাপ্রধান মোল্লা নূরুদ্দিন তোরাবি সম্প্রতি বলেছেন, তাঁরা দেশটিতে নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকের আইনের প্রয়োগ করবেন, যার মধ্যে অঙ্গ কর্তন ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান রয়েছে। তাঁর এ বক্তব্যের পরই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া এল।

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চার অপহরণকারী নিহত হওয়ার পর গতকাল শনিবার তাঁদের লাশ ক্রেনে ঝুলিয়ে রেখে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরায় তালেবান।

হেরাতের ডেপুটি গভর্নর মাওলাউই শির আহমেদ মুহাজির বলেন, চারজনের মৃতদেহ বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে প্রদর্শন করা হয়েছে। অপহরণ কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না—এই শিক্ষা দিতেই এমনটা করা হয়েছে।

গত মাসে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। চলতি মাসের শুরুর দিকে তারা সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়।

তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর এই প্রথম আফগানিস্তানে কঠোরতম কোনো শাস্তির ঘটনা ঘটল। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে এমনটা মনে করা হচ্ছে যে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান ক্ষমতায় থাকার সময় যে কট্টরপন্থা অবলম্বন করেছিল, তারা এখন আবার তা বহাল করবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, আফগান সাংবাদিক, নাগরিক অধিকারকর্মী, নারী, শিশু, মানবাধিকারকর্মী ও প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে তালেবানকে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন