দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা রোগীদের গতিবিধি অনুসরণ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের উপকণ্ঠে অবস্থিত বুশান শহরে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে
ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের গতিবিধি অনুসরণে (ট্র্যাক) পাইলট প্রজেক্টের অংশ হিসেবে শিগগির নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।

আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, করোনা রোগীদের গতিবিধি অনুসরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ফেসিয়াল রিকগনিশন ও হাজারো সিসি ক্যামেরা এই পাইলট প্রজেক্টে যুক্ত করা হবে।

তবে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের এমন নজরদারি পদ্ধতির কারণে দেশটির সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের উপকণ্ঠে অবস্থিত বুশান শহরে এই পাইলট প্রজেক্ট চালু হচ্ছে। দেশটির অন্যতম জনবহুল শহর এটি। নগরের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, জাতীয়ভাবে অর্থায়ন করা এই পাইলট প্রজেক্টের কার্যক্রম জানুয়ারি মাসে শুরু হবে।

নজরদারি ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১০ হাজার ৮২০টির বেশি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হবে। এর মাধ্যমে করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির গতিবিধি অনুসরণের পাশাপাশি তাঁদের সান্নিধ্যে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হবে। তাঁরা মাস্ক পরেছেন কি না, তা–ও দেখা হবে।

এ নিয়ে দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে ১১০ পৃষ্ঠার একটি পরিকল্পনা দিয়েছে বুশান নগর কর্তৃপক্ষ। দেশটির এক এমপির কাছ থেকে এই পরিকল্পনার একটি অনুলিপি পেয়েছে রয়টার্স।

করোনার বিস্তার ঠেকানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার নতুন নতুন প্রযুক্তির পাশাপাশি আইনগত ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে চীন, রাশিয়া, ভারত, পোল্যান্ড, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র। তারা ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনা রোগীদের গতিবিধি নজরদারি করছে।

বুশানের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, শহরটির জনসংখ্যা আট লাখের বেশি। নতুন প্রযুক্তি চালু করা হলে এই শহরে করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারির কাজে নিয়োজিত কর্মীদের চাপ অনেকটা কমবে। তা ছাড়া এই ব্যবস্থায় গতিবিধি নজরদারির কাজে নিয়োজিত দলের কাজ আরও কার্যকর ও নির্ভুল হবে বলে আশা করা যায়।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ইতিমধ্যে উচ্চপ্রযুক্তির ‘কন্টাক্ট ট্রেসিং’ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এই ব্যবস্থায় ক্রেডিট কার্ডের রেকর্ড, মুঠোফোনের তথ্য, সিসিটিভি ফুটেজসহ অনেক ব্যক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়।