মহত্ত্বের গল্প সব সময়ই মধুর। সেটা মানুষ বা প্রাণী যারই হোক। এমনই এক মহত্ত্বের গল্প নাড়া দিয়েছে অনেককে। তবে সেই গল্প রচিত হয়েছে কোনো মানুষের হাত ধরে নয়, থাইল্যান্ডের একটি হাতির মাধ্যমে। হাতিটি দৃষ্টিহীন এক হাতিকে প্রতিনিয়ত সহায়তা করে আসছে।
থাইল্যান্ডের এলিফ্যান্ট ন্যাশনাল পার্কের ঘটনা এটি। ঘটনাটির একটি ভিডিও সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছেন লেক চাইলার্ট নামের এক ব্যক্তি। তিনি ওই ন্যাশনাল পার্ক ও সেভ এলিফ্যান্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেক চাইলার্ট ভিডিওর সঙ্গে একটি ক্যাপশন লিখেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, রৌদ্রোজ্জ্বল দিন। পার্কে পড়ে রয়েছে খাবার। তিনটি হাতির একটি সেগুলো খাচ্ছে। চানা নামের একটি হাতি সঙ্গী আরেক হাতি প্লাই থংকে কোনোভাবেই ছেড়ে যাচ্ছে না। কারণ, থং পুরোপুরি দৃষ্টিহীন। মাটিতে পড়ে থাকা খাবার কাছে আনতে থংকে নির্দেশনা দিচ্ছে চানা। নির্দেশনা পেয়ে একপর্যায়ে খাবারের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয় থং। সম্ভবত চানার পায়ের শব্দ শুনে খাবার কোথায় তা শনাক্ত করতে সক্ষম হয় সঙ্গী হাতিটি।
আকারে বিরাট হলেও হাতি ততটা হিংস্র নয়। হাতির বিষয়ে অনেক গল্প শোনা যায়। অনেকে ক্ষেত্রে মানুষের ‘বন্ধু’ও হতে পারে প্রাণীটি। তবে এদের শ্রবণশক্তি খুব ভালো। সেই শ্রবণশক্তি শুধু বড় কানের জন্য নয়, প্রাণীটি পায়ের শব্দের কম্পন শুনে অবস্থান নির্ণয় করতে পারে।
লেক চাইলার্ট লিখেছেন, প্রতিদিনই হাতি দুটি একে অন্যের দেখভাল করে। হাতির এই সুন্দর কর্মকাণ্ডের সাক্ষী তিনি। এই শিক্ষা সবার জন্যই।
এ ঘটনাকে শিক্ষণীয় উল্লেখ করেছেন ইনস্টাগ্রামের অনেক ব্যবহারকারী। চাইলার্টের কাছে তাঁরা জানতে চেয়েছেন কীভাবে থং দৃষ্টি হারিয়েছে। উত্তরে তিনি লিখেছেন, হাতিটি রাইডিং ক্যাম্পে কাজ করত। সেখান থেকেই সেটি দৃষ্টিশক্তি হারাতে শুরু করে। এরপর পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যায়।