মানবিক সহায়তাকর্মীদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি তালেবানের: জাতিসংঘ
তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের মানবিক পরিস্থিতি সংকটজনক হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির মানবিক সহায়তাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালেবান। দেশটিতে বিদেশি সহায়তা যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে তারা। জাতিসংঘের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথসের সঙ্গে তালেবানের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেয় তালেবান।
গতকাল কাবুলে পৌঁছান মার্টিন। সেখানে তিনি বেশ কিছুদিন অবস্থান করবেন। তালেবান নেতাদের সঙ্গে তাঁর আরও আলোচনার কথা রয়েছে।
গতকালের বৈঠক নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক। বিবৃতিতে তিনি বলেন, তালেবান তাদের মানবিক সহায়তাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যাঁদের মানবিক সহায়তা দরকার, তাঁদের কাছে তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সহায়তা দেবে তালেবান। মানবিক সহায়তার কাজে যুক্ত নারী ও পুরুষ কর্মীদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেবে তারা।
আফগানিস্তানে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে সহায়তা কার্যক্রম চালানোর ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে তালেবানের সঙ্গে বৈঠকে জানান মার্টিন।
আফগানিস্তানে নারীদের অধিকার চরমভাবে লঙ্ঘনের জন্য তালেবানের কুখ্যাতি রয়েছে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দেশটির ক্ষমতায় থাকার সময় তাদের এমন কর্মকাণ্ড বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়। এবার তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে নারীদের অধিকার যেন নিশ্চিত করা হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্টিন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন। আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের জন্য জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের তালেবান প্রতিনিধিদল ধন্যবাদ জানিয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
মার্কিনদের সঙ্গে বৈঠকে তালেবানের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার।
তালেবান দখল নেওয়ার আগে থেকেই আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ নড়বড়ে। দেশটির অর্থনীতি ব্যাপকভাবে বিদেশি সহায়তানির্ভর। এখন দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা আরও সংকটজনক হয়ে উঠেছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নিরাপত্তার অভাব। এর মধ্যেই দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে মানবিক সহায়তা আবার চালু করেছে জাতিসংঘ।