কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে গত সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করে দুই আরব দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। এর মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে আরেক আরব দেশ জর্ডানের এক বিরল বৈঠকের খবর এল। গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের দখল করা পশ্চিম তীরের সঙ্গে জর্ডানের সংযোগ সেতু কিং হুসেন (আলেনবি) ব্রিজে ওই বৈঠক করেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি আলোচনা আবারও শুরু করার তাগাদা নিয়ে ওই বৈঠক হয় বলে জানিয়েছেন জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের নির্বাচিত হওয়ার পর ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন বাড়াতে আরব দেশগুলো সফরের অংশ হিসেবে সম্প্রতি জর্ডান সফরে যান ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। এর কয়েক দিন পরই ইসরায়েল ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসলেন।
জর্ডানের সরকারি সংবাদ সংস্থা পেত্রার খবরে বলা হয়েছে, বৈঠকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গোবি আশকেনাজিকে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত থামানোর প্রধান উপায় হচ্ছে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সাফাদিকে উদ্ধৃত করে পেত্রার খবরে বলা হয়, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সত্যিকারের সমাধান খুঁজতে আন্তর্জাতিক আইন মেনে আলোচনার টেবিলে ফিরে যাওয়া প্রয়োজন।’
শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সত্যিকারের সমাধান খুঁজতে আন্তর্জাতিক আইন মেনে আলোচনার টেবিলে ফিরে যাওয়া প্রয়োজন।
ওই বৈঠকের পর আজ শুক্রবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ আলোচনায় বসার জন্য ফিলিস্তিনিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনের জনগণ ও তাঁদের নেতৃত্বকে উদ্দেশ করে এক ভিডিও বিবৃতিতে গান্টজ বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য পরিবর্তন হচ্ছে। সেই কারণে আপনাদের স্বার্থেই আলোচনায় ফিরে আসা উচিত। এ নিয়ে হেলাফেলা করবেন না।’
মধ্যপ্রাচ্য পরিবর্তন হচ্ছে। সেই কারণে আপনাদের স্বার্থেই আলোচনায় ফিরে আসা উচিত। এ নিয়ে হেলাফেলা করবেন না।
১৯৯৪ সাল থেকে জর্ডান ও ইসরায়েল একটি শান্তি চুক্তি মেনে চলছে। কিন্তু এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার সম্পর্ক খুবই উত্তপ্ত। তাই দেশ দুটির মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক সচরাচার দেখা যায় না।
২০১৪ সাল থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে কোনো শান্তি আলোচনা হয়নি। গত জানুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করলে তাকে স্বাগত জানায় ইসরায়েল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিন।