১৩০ হুতি বিদ্রোহীকে হত্যার দাবি সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের

ইয়েমেনে ২০১৪ সাল থেকে সরকার ও হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই চলছে
ছবি: রয়টার্স

ইয়েমেনের কৌশলগত মারিব শহর ও আশপাশে গত ২৪ ঘণ্টায় সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট-সমর্থিত সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে ১৩০ জনের বেশি হুতি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জোট সেনাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। খবর এএফপির।

ইয়েমেনের জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা এখন ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেন সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শুধু মারিব। শহরটিতে বিদ্রোহীদের ঠেকাতে অক্টোবর থেকে হামলা জোরদার করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। সেখানে প্রায় প্রতিদিনই হতাহতের বড় ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছে তারা।

জোট সেনাদের বিবৃতির বরাত দিয়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, মারিব ও আল বায়েদা প্রদেশে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১৬টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করা হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৩০ জনের বেশি বিদ্রোহীর।

হতাহতের সংখ্যা নিয়ে সৌদি জোট নিয়মিত তথ্য দিলেও এ নিয়ে সচরাচর তেমন মন্তব্য করে না বিদ্রোহীরা। খবর মিলেছে, গত কয়েক সপ্তাহে নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। তবে এই হিসাব স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি এএফপি।

মারিবের দখল নিতে গত ফেব্রুয়ারিতে জোর তৎপরতা শুরু করে হুতিরা। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও গত সেপ্টেম্বর থেকে তা আবার জোরদার হয়।

২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনে সরকার ও হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই চলছে। তখন রাজধানী সানা দখল করে মানসুর হাদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে হুতি বিদ্রোহীরা। পরে ২০১৫ সালের মার্চে হাদি সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ করে সৌদির নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট।

দেশটিতে কয়েক বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। ইয়েমেন পরিস্থিতিকে বিশ্বের সবচেয়ে শোচনীয় মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।