ঈদের আগে আল–আকসা প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি অভিযান
ঈদুল আজহার আগে আবার পূর্ব জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সকালে মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে ইসরায়েলি পুলিশ। এ সময় তারা মুসল্লিদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদনে সোমবার জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আল–আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুপ্রবেশ ও উত্তেজনার পেছনে ইসরায়েলি দখলদার সরকার দায়ী। ইহুদি দর্শনার্থীরা এখানে উত্তেজনা ছড়ান। তাঁরা এখানকার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি।
তবে ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, মসজিদের উঁচু জায়গা থেকে ফিলিস্তিনি তরুণেরা ইসরায়েলি পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছিলেন। এ কারণে তাঁদের হটাতে সেখানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
আল–আকসা মুসলিম ও ইহুদি—দুই সম্প্রদায়ের মানুষের কাছেই পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রতিবছর ধর্মীয় উৎসব তিশা বি’এভ উপলক্ষে আল–আকসা প্রাঙ্গণে ভিড় করেন ইহুদিরা। ইহুদি দর্শনার্থীদের আল–আকসা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন তদারকি করে ইসরায়েলি পুলিশ। রোববার এ উৎসবের দিনে সেখানে হাজারের বেশি ইহুদি গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছ ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম। এএফপি বলছে, এদিন সেখানে গিয়েছিলেন ১ হাজার ৬৭৯ জন ইহুদি।
ঈদের আগে আল–আকসা প্রাঙ্গণে পুলিশি অভিযানের উদ্বেগ জানিয়েছে টুইট করেছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল। টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, এ ঘটনায় উসকানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জর্ডান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দাইফাল্লাহ আল–ফায়েজ রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, আল–আকসা প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি অভিযান অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়। এটা ঐতিহাসিক ও আইনি স্থিতিশীলতার লঙ্ঘন। অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের স্থিতিশীলতায় আন্তর্জাতিক আইন ও ইসরায়েলি বাধ্যবাধকতার ব্যত্যয়।