জর্ডানের প্রিন্সের বিরুদ্ধে বিদেশিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

হামজা বিন হুসেন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

জর্ডানকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেশটির সাবেক ক্রাউন প্রিন্স হামজা বিন হুসেন বিদেশিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। জর্ডানের উপপ্রধানমন্ত্রী আয়মান সাফাদি গতকাল রোববার এ অভিযোগ করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

হামজা বিন হুসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে টেলিভিশনে সংবাদ সম্মেলন করেন জর্ডানের উপপ্রধানমন্ত্রী। আয়মান সাফাদি জানান, হামজা বিন হুসেন কিছু সময়ের জন্য তদন্তাধীন ছিলেন।

জর্ডানের উপপ্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, তদন্তে জর্ডানকে অস্থিতিশীল করার যুতসই সময় নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি উঠে এসেছে। হামজার স্ত্রীর সঙ্গে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা যোগাযোগ করেছে। এই দম্পতির জর্ডান ছাড়ার জন্য একটি উড়োজাহাজের ব্যবস্থা করার বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য এ যোগাযোগ করা হয়।

আয়মান সাফাদি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, এসব কর্মকাণ্ড-তৎপরতা দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করার মতো পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। তাই বিষয়টি পরিবারের গণ্ডির মধ্যে রেখে এ নিয়ে হামজার সঙ্গে সরাসরি কথা বলাটাকেই উত্তম বলে সিদ্ধান্ত নেন বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ।

জর্ডানের উপপ্রধানমন্ত্রী জানান, ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৪ থেকে ১৬ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিস্তারিত পরিচয় জানায়নি জর্ডানের কর্তৃপক্ষ। তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুখ রয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

আয়মান সাফাদির ভাষ্য, বিষয়টি পরিবারের ভেতরে রেখে উদ্ভূত সংকট সমাধানের জন্য চেষ্টা চলছে। কিন্তু হামজা এ কাজে সহায়তা করছেন না।

গত শনিবার বিবিসিকে একটি ভিডিও পাঠান প্রিন্স হামজা। ভিডিওতে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। এদিনই দেশটির সেনাপ্রধান তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। সেনাপ্রধান বলেন, তাঁকে বাইরে বের হতে দেওয়া হবে না। অন্য লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হবে না।

হামজা অভিযোগ করেন, তাঁর অনেক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তাঁর ইন্টারনেট ও ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

বাদশাহ ও সৎভাই দ্বিতীয় আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন হামজা।

অন্যদিকে জর্ডানের সেনাবাহিনী প্রিন্স হামজাকে গৃহবন্দী করে রাখার কথা অস্বীকার করে।

গত শনিবার সেনাবাহিনী বলে, দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন করতে পারে, এমন যেকোনো কোনো আচরণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে তারা। এ ব্যাপারে তারা হামজাকে সতর্ক করেছে।

প্রিন্স হামজা বিন হুসেন জর্ডানের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অযোগ্যতা ও হয়রানির অভিযোগ তুলে আসছিলেন।