জাতিসংঘে ভোটাধিকার স্থগিত, ক্ষুব্ধ ইরান

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ।
ফাইল ছবি: এএফপি

জাতিসংঘে চাঁদা না দিতে পারায় ইরানের ভোটাধিকার স্থগিত করেছে সংস্থাটি। এর প্রতিবাদে চিঠি লিখে জাতিসংঘকে একহাত নিয়েছে ইরান। তেহরান জানায়, সংস্থাটির এ সিদ্ধান্ত পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য এবং সম্পূর্ণভাবে অন্যায্য।

জাতিসংঘকে এ চিঠি লেখেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ। টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্টে সেই চিঠি তিনি প্রকাশ করেন।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের চাঁদা দিতে না পারার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করে ইরান। দেশটি জানায়, জাতিসংঘে ১৬ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের চাঁদা বকেয়া হয়। ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। এরপর তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তিনি। ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থনৈতিকভাবে চাপে রয়েছে ইরান।

গত জানুয়ারিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইরানের ভোটাধিকার স্থগিত করা হয়। টানা দুই বছরে কোনো দেশের বকেয়া চাঁদা যদি তার অনুদানের সমান বা বাড়তি হয়, তাহলে নীতি অনুসারে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে জাতিসংঘ।

গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে চিঠি লিখে চরম হতাশা প্রকাশ করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘে চাঁদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারার জন্য সরাসরি দায়ী ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা অনৈতিক ও একতরফা নিষেধাজ্ঞা।’

জাভেদ জারিফ বলেন, জাতিসংঘে ভোটাধিকার বাতিলের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। কারণ, অর্থ স্থানান্তরে ইরানের এ অসামর্থ্যতা সম্পূর্ণভাবে তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। গত ২৮ মে গুতেরেস সাধারণ পরিষদের কাছে লেখেন, বকেয়া চাঁদা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় পাঁচটি সদস্যদেশের ভোটাধিকার বাতিল করা হয়েছে। তবে শর্তাধীন বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণের সমর্থ্য না হলে দেশগুলোকে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।