ফিলিস্তিনে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

গাজার বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এসব স্থানে ধোঁয়া ও আগুনের শিখা দেখা যায়
ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার রাতে চালানো ওই হামলায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে ইসরায়েলকে রক্ষ্য করে ফিলিস্তিনের গাজা থেকে দুটি রকেট হামলা চালানো হয়। এতে দুজন আহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। চুক্তির আওতায় আরব বিশ্বের এ দুই দেশ স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করছে ইসরায়েলের সঙ্গে। এ চুক্তির কঠোর বিরোধিতা করছে ফিলিস্তিনিরা।

আল–জাজিরার খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রথম রকেট হামলা চালায়। পরে গাজায় হামাসের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এ হামলায় অন্তত ১০টি বিমান অংশ নেয়।

ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফার বরাত দিয়ে আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান গাজার উত্তরের শহর বেইত লেহিয়ায় ওই হামলা করে। এতে ওই এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল মূল গাজার অন্যতম শহর দেইর আল-বালাহ। তবে প্রতিবেদনে গাজায় কারও হতাহতের কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।

ফিলিস্তিনের অন্যতম স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘আমাদের জনগণের ওপর চলমান যেকোনো নিপীড়নের উপযুক্ত মূল্য দেওয়া হবে। কোনো পরোক্ষ জবাব দেওয়া হবে না। জবাব দেওয়া হবে সরাসরি।’ তবে রকেট হামলার দায় স্বীকার করে হামাসের কোনো বিবৃতি প্রতিবেদনে পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে গাজার দিক থেকে ইসরায়েলের উদ্দেশে কমপক্ষে দুটো রকেট ছোড়া হয়। এর মধ্যে একটি রকেট ইসরায়েলের মিসাইল প্রতিরোধী পদ্ধতি আইরন ডোম প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। অপর একটি রকেট ইসরায়েলের উপকূলীয় শহর আশদবে পড়ে। এতে দুই ব্যক্তি আহত হন।

ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীর, গাজাসহ আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে আসছে। কিন্তু জর্ডান ও মিসরের পর নতুন করে এ দুই আরব দেশের চুক্তিকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবেই দেখছেন ফিলিস্তিনিরা। কারণ, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় আরব দেশগুলো প্রধান তিনটি শর্ত দিয়েছিল। সেগুলো হলো যুদ্ধের সময় আরব দেশগুলোর দখল করা জমি ছেড়ে দেওয়া, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ও স্বীকৃতি এবং ফিলিস্তিনের দখল করা জমি হস্তান্তর। কিন্তু ইসরায়েল কোনো শর্তই পূরণ করেনি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার তিন বছর পর ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশশাসিত ফিলিস্তিনে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের জন্ম হয়। পশ্চিমা বিশ্বের বানানো এ রাষ্ট্রকে কখনো মেনে নেয়নি আরবরা। ১৯৫৬, ১৯৬৭ ও সর্বশেষ ১৯৭৩ সালে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যুদ্ধ হয় ইসরায়েলের। প্রতিবারই আরবরা পরাজিত হয়। এরপর থেকেই ইহুদিদের কাছে জমি হারাতে বসে ফিলিস্তিনিরা।

আরও পড়ুন