বাংলাদেশিদের কাতার যেতে নতুন করে হোটেল বুকিং লাগবে

কাতার সরকার-নির্ধারিত হোটেলগুলোতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বাংলাদেশসহ ছয় দেশ থেকে আগত যাত্রীদের

ভারতে করোনা সংকট তীব্রতর হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে যেতে ইচ্ছুক লোকজনকে কোয়ারেন্টিনের সময়কালের জন্য নতুন করে হোটেল বুকিং দিতে হবে।

কাতার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৯ এপ্রিল থেকে যাঁরা বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশ থেকে আসছেন, তাঁদেরকে কাতার সরকার-নির্ধারিত কিছু হোটেলে ১০ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। অপর দেশগুলো হলো ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইন।

সরকার-নির্ধারিত হোটেলগুলো ছাড়া অন্য কোনো হোটেলে বাংলাদেশিরা কোয়ারেন্টিনের জন্য বুকিং দিতে পারবেন না। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কাতারে হোটেল কোয়ারেন্টিন সমন্বয়কারী কর্তৃপক্ষ ডিসকভার কাতারের ওয়েবসাইটে এই নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলাদেশসহ ছয় দেশ থেকে যেসব যাত্রী আগে থেকে কাতারে নতুন নির্ধারিত হোটেলগুলোর বাইরে অন্য হোটেল বুকিং দিয়েছিলেন, তাঁদের সেই বুকিং ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। বুধবার থেকে যাঁরা কাতারে আসবেন, তাঁদের প্রত্যেককে নির্ধারিত ফ্লাইটের আগে কাতারের কোয়ারেন্টিন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ই-মেইলে নতুন হোটেলের নাম জানিয়ে দেওয়া হবে। যাত্রীর মেইলে পাঠানো নির্দেশনা অনুসারে তাঁকে নির্ধারিত হোটেলগুলো থেকে যেকোনো একটি হোটেলে রুম বুকিং দিতে হবে।

তবে এ ক্ষেত্রে হোটেল বুকিংয়ের সময় অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আর আগের বুকিংয়ের অর্থ ১৫ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে।

এর আগে কাতার কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশ থেকে কাতারে এলে ১০ দিনের জন্য হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক। এমনকি এই ছয় দেশ থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে যাঁরা ইতিমধ্যে করোনা টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন বা করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই বাধ্যতামূলক ১০ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টিন প্রযোজ্য হবে।

কাতারে সাধারণত করোনা টিকার দুই ডোজ গ্রহণকারী এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয় না। তবে আপাতত এই ছয় দেশ থেকে আসা কেউই সেই সুবিধা পাবেন না। পাশাপাশি এই ছয় দেশ থেকে আসার সময় ফ্লাইটের আগের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা টেস্ট করে নেগেটিভ সনদ সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে।

কাতারে বর্তমানে ৬০টির বেশি হোটেলে বিদেশফেরত লোকজনকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। এই কোয়ারেন্টিন সময়ের খরচ হোটেলভেদে সর্বনিম্নœ৫০ হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত।