বোমার শব্দে হেসে ওঠা সেই শিশুটি তুরস্কে গেল

বাবার সঙ্গে সালওয়া।  ছবি: বিবিসি
বাবার সঙ্গে সালওয়া। ছবি: বিবিসি

সিরিয়ায় যুদ্ধ চলছে প্রায় ৯ বছর হতে চলল। বোমার আওয়াজ সেখানে হরহামেশাই হয়। কিন্তু সেই শব্দে ভয় পেত না ছোট্ট মেয়ে সালওয়া। হাসত খিলখিল করে। কারণ, মাত্র তিন বছর বয়সী এই মেয়েকে বোমার শব্দে এমন করেই হাসতে শিখিয়েছেন তার বাবা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ। গতকাল ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনসহ (বিবিসি) বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সালওয়া অবশেষে সিরিয়া থেকে পালাতে পেরেছে। পৌঁছেছে তুরস্কে। খবর বিবিসির।

সালওয়াদের বাড়িটি ছিল সিরিয়ার ইদলিবের কাছাকাছি। আর ইদলিব এখনো বিদ্রোহীদের সবশেষ শক্ত ঘাঁটি। কাজেই যখনই যুদ্ধবিমান থেকে বোমা পড়ত, তখনই হেসে উঠত সালওয়া। এ ছিল নিছকই এক খেলা। বোমার শব্দে সালওয়ার হেসে ওঠার ভিডিওটি গত মাসে ভাইরাল হয়েছিল। এরপর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শিরোনামও হয় এই শিশু। এর পরপরই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তুর্কি সরকার। অভিভাবকের সঙ্গে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তুরস্কে যায় সালওয়া।

সালওয়ার বাবা আবদুল্লাহ বলেছিলেন, তীব্র শব্দে আতঙ্কিত বা ভয় না পেয়ে হেসে ওঠার খেলাটি তাঁর মেয়েকে শান্ত, চনমনে ও খুশি থাকতে সাহায্য করেছে। সম্ভবত এই কারণেই তুরস্ক সরকারও তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েছে।

তুরস্কের আনাদলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, সালওয়া ও তার পরিবার গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তুরস্কে পৌঁছেছে। তাদের তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের রেয়হালনি শরণার্থীশিবিরে নেওয়া হয়েছে।

গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদক বেথান ম্যাককেরান গত মঙ্গলবার সালওয়া ও তাঁর বাবার ছবিসহ টুইট করে লিখেছেন, ‘প্রথমবারের মতো, সে (সালওয়া) হয়তো স্বাভাবিক বিষয়গুলোতে হাসতে পারবে।’

সালওয়ার বাবা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তুরস্কের গণমাধ্যমে বলেছেন, তুরস্কে পৌঁছাতে পেরে তিনি আনন্দিত। এখন সালওয়া স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাবে। এ সময় তিনি সিরিয়া যুদ্ধ শেষ হলে পুনরায় স্বদেশে ফেরার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।