সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ১০

ফাইল ছবি: রয়টার্স

সিরিয়ায় ইরানের কুদস ফোর্স ও সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে ১০ জন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার এই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের অধিকৃত গোলান উপত্যকায় দেশটির সেনাঘাঁটিতে উন্নত বিস্ফোরক ডিভাইস খুঁজে পাওয়ার পর এই হামলা চালানো হয়।

সিরিয়ায় এমন সময়ে এই হামলা চালানো হলো, যার কয়েক ঘণ্টা আগে ইরানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনার জন্য ইসরায়েলে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব ছাড়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলে দেশটির শীর্ষ কূটনীতিকের এটাই শেষ সফর।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরানের কুদস ফোর্স ও সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে রাতভর হামলা চালানো হয়।

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস ফোর্স মূলত বিদেশে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর স্থাপনা, গুদাম ও সদর দপ্তর এবং সিরিয়ার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাটারি লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।

ইসরায়েল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জনাথন কনরিকাস সাংবাদিকদের বলেন, গোলান উপত্যকার ইসরায়েলি অংশে আইইডি (বিস্ফোরক ডিভাইস) পাওয়া গেছে, যেগুলো ইরানি বাহিনীগুলোর নেতৃত্বে সিরিয়ার একটি দল পেতে রেখে যায়।

এদিকে সিরিয়ার বার্তা সংস্থা সানার খবরে বলা হয়েছে, এই বিমান হামলায় তিন সেনা নিহত ও এক সেনা আহত হয়েছেন। কিন্তু যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সিরিয়ার বাহিনী ও বিদেশ বাহিনীর ১০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন বিদেশি। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা কুদস ফোর্সের সদস্য।

সিরিয়ায় ২০১১ সাল থেকে চলা গৃহযুদ্ধে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের হয়ে লড়াইকারী ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহ বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে।