অস্ট্রেলিয়ায় অমিক্রনের স্থানীয় সংক্রমণ শনাক্ত

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহর (ফাইল ছবি)ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ায় স্থানীয়ভাবে করোনার অমিক্রন ধরনে সংক্রমিত এক রোগী শনাক্ত হয়েছে। আজ শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিডনিতে এক স্কুলশিক্ষার্থী অমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটিতে এর আগে বিদেশফেরতদের মধ্যে অমিক্রন শনাক্ত হলেও স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি আফ্রিকা অঞ্চলে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর অন্য দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রেলিয়া। তা ছাড়া আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় ইতিমধ্যে অমিক্রন আক্রান্ত নয়জন শনাক্ত হয়েছেন। তবে তাঁরা সবাই বিদেশফেরত।

আজ শুক্রবার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর বলেছে, প্রথমবারের মতো স্থানীয়ভাবে অমিক্রনে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমিত হওয়ার আগে ওই শিক্ষার্থী বিদেশে ভ্রমণ করেনি কিংবা বিদেশফেরত কারও সংস্পর্শে আসেনি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে তদন্ত করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। যাঁরা ওই শিক্ষার্থীর সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

ওই শিক্ষার্থী সিডনির পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত রিজেন্টস পার্ক ক্রিশ্চিয়ান স্কুলে পড়াশোনা করে। ইতিমধ্যে সেই স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর পরিবারকেও কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ শনাক্তের পর নতুন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার ভেতরে অমিক্রন ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দেশে করোনার নতুন ধরনকে ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারবে তারা। ১৬ বছরের বেশি বয়সী মানুষদের ৮৭ শতাংশকে টিকা দেওয়ার কাজ শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে এ সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় এখন দৈনিক প্রায় দুই হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হন। অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ২১ জন। ভাইরাসের সংক্রমণ হার ঠেকাতে টিকা দেওয়া পাশাপাশি সীমান্ত বন্ধ রাখা, বিপুল হারে পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং স্থানীয় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এসব কারণে দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হারও এখন কমে গেছে।