আগামী বছরই করোনার সুরক্ষাব্যবস্থা হাতে থাকবে: গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন সিইও

গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এমা ওয়ালমসলে
ছবি: রয়টার্স

বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের (জেএসকে) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এমা ওয়ালমসলে আগামী বছরে ব্যাপক আকারে করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, কোভিড-১৯–এর বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধী টিকা পাওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত মঙ্গলবার কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি (সিবিআই) আয়োজিত অনলাইন অনুষ্ঠানে এমা বলেন, ‘আমি আশা করছি, আগামী বছরই করোনার সুরক্ষাব্যবস্থা আমাদের হাতে থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিকা পাওয়া।’

গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন অ্যাডজুভান্ট নামের টিকার কার্যকারিতা বাড়ানোর বুস্টার তৈরিতে কাজ করছে। এই অ্যাডজুভান্ট অনেক টিকার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন। তাদের সবচেয়ে এগিয়ে থাকা প্রকল্পটি হচ্ছে ফ্রান্সের টিকা প্রন্তুতকারক সানোফির সঙ্গে। এ টিকা আগামী বছর অনুমোদন পেতে পারে।

দ্রুতগতিতে টিকা পরীক্ষার পক্ষে অবস্থান নিয়ে এমা বলেন, দ্রুত টিকা তৈরির পথে সুরক্ষার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে না। কারণ, পরীক্ষাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট আকারের নয় এবং নিয়ন্ত্রকেরা ও কোম্পানিগুলো সমান্তরাল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আগে এ ধরনের পদক্ষেপ ধারবাহিকভাবে করা হতো।

এমা আরও বলেন, ‘আমরা ১০ বছরের সময়সীমাকে ২ বছরে নামিয়ে এনেছি। মানুষকে এটা নিশ্চয়তা দিতে চাই যে আমরা নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে ভিন্ন স্তরের সহযোগিতা করে এ কাজ করতে সক্ষম হয়েছিল। আমরা আমাদের বিনিয়োগ ঝুঁকিতে ফেলেছি। সরকার তাদের তহবিল ঝুঁকিতে ফেলেছে, যাতে আমরা টিকা ঠিকমতো পরীক্ষা করতে পারি। ব্যাপক আকারে টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গত মে মাসে জিএসকে বলেছিল, আগামী বছরে কোভিড-১৯ শটগুলোর জন্য ভ্যাকসিন কার্যকারিতা বুস্টারগুলোর (অ্যাডজুভান্টস) ১০০ কোটি ডোজ উৎপাদন করার পরিকল্পনা করছে তারা।

জিএসকের অ্যাডজুভান্টটি বর্তমানে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে পরীক্ষা চলা সাতটি ভ্যাকসিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হতে পারে । প্রচলিত টিকার পদ্ধতিতে অ্যাডজুভান্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী অনাক্রম্যতা তৈরি করতে পারে। অ্যাডজুভান্টসের কারণে একটি ভ্যাকসিনে প্রোটিনের কম ডোজ লাগে বলে বেশি ভ্যাকসিন উৎপাদন করা যায়।