ভাদিম তোকার বলেন, ‘আমরা আমাদের গ্রামে তাদের (রাশিয়ার সেনাদের) নৃশংসতা দেখেছি। গতকাল পর্যন্ত আমরা ১৩২ জন বেসামরিক নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছি। রাশিয়ার দানবেরা (রুশ সেনারা) এসব বেসামরিক মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছেন। আমি তো তাদের (রাশিয়ার সেনা) মানুষ বলতে পারব না।’ তিনি আরও বলেন, রুশ বাহিনী মাকারিভে বোমা হামলা করেছে। হামলায় একটি হাসপাতাল, একাধিক কিন্ডারগার্টেন ও প্রায় সব অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।
গ্রামপ্রধান তথা মেয়র ভাদিম তোকার বলেন, ‘বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস ছাড়াই কোনোমতে আমাদের দিন যাপন করতে হচ্ছে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গ্রামের মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। আমরা গ্রাম থেকে কারও সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছিলাম না। কয়েক দিন আগেই যোগাযোগব্যবস্থা আবার চালু হয়েছে।’
ভাদিম তোকারের দাবি অনুযায়ী, রুশ বাহিনীর হামলায় মাকারিভের প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও জানান, মাকারিভে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বাস। তবে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর মানুষজন গ্রাম ছেড়ে পালাতে শুরু করে। গ্রামটিতে এখন এক হাজারের কম মানুষ আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।