করোনার নতুন প্রকোপ, ফ্রান্সের আরও চার শহরে রেস্তোরাঁ বন্ধ

ফ্রান্সে নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনার সংক্রমণ। প্যারিসসহ দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেস্তোরাঁ ও বার
ছবি: এএফপি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ায় ফ্রান্সের আরও চারটি শহরে বার ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। শনিবার থেকে লিওন, লিলে, গ্রনবল ও সেন্ট এসিয়েন শহরে এই বিধি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে রাজধানী প্যারিস ও গত মাসে মারসেই শহরে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। শুধু ফ্রান্সই নয়, ইউরোপের অন্যান্য দেশেও নতুন করে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফ্রান্স সরকার বলছে, তারা নতুন করে ১৮ হাজার ১২৯টি করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পেয়েছে। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩৩ হাজার জন মারা গেছেন। ১ লাখ আড়াই হাজারের মতো মানুষ সুস্থ হয়েছেন। করোনা শনাক্তের দিক থেকে বিশ্বে ১০ম স্থানে রয়েছে ফ্রান্স।

ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলিভিয়ের ভেরান স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সম্প্রতি কয়েকটি মহানগরে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। প্রতিদিন অনেক মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।

ফ্রান্সে দুটি কারণে কোনো শহরে করোনার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। এক. যখন সেখানকার ১ লাখ বাসিন্দার মধ্যে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা ২৫০ ছাড়ায়। দুই. শনাক্ত রোগীদের ৩০ শতাংশকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিতে হলে। প্যারিসের হাসপাতালগুলোতে গত বৃহস্পতিবার থেকে জরুরি অবস্থা বিরাজ করছে। কারণ, সেখানে অবস্থান করা করোনা রোগীদের প্রায় ৫০ শতাংশকে আইসিইউতে রাখতে হচ্ছে।

ফ্রান্সে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি যেন গোটা ইউরোপেরই প্রতিচ্ছবি। নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, ইউক্রেন ও চেক প্রজাতন্ত্রে এই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি করোনা প্রতিরোধে ইউরোপের সফল দেশ জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রীও তাঁর দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

অন্যদিকে বিশ্বব্যাপীও করোনা সংক্রমণের আনুপাতিক হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ইউরোপ, আমেরিকা ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় এই প্রাদুর্ভাব বেশি। বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, এক দিনের হিসেবে বিশ্ব করোনা সংক্রমণে রেকর্ড করেছে। ওই ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৭৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়।