ক্রোয়েশিয়া-স্লোভেনিয়া সীমান্তে আটকা পড়ে বৃষ্টি ও ঠান্ডায় দুঃসহ পরিস্থিতিতে পড়া আট হাজার শরণার্থীকে নিজ ভূখণ্ডে ঢুকতে দিয়েছে স্লোভেনিয়া। সীমান্তে শরণার্থী ব্যবস্থাপনার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েনেরও ব্যবস্থা নিচ্ছে দেশটি। ক্রোয়েশিয়াও শরণার্থীদের জন্য সার্বিয়ার সঙ্গে সীমান্ত খুলে দিয়েছে। খবর বিবিসি ও এএফপির।
এর আগে পশ্চিম ও উত্তর ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য শরণার্থীদের প্রধান গন্তব্য ছিল হাঙ্গেরি। কিন্তু গত শুক্রবার রাত থেকে হাঙ্গেরি দক্ষিণে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে তার সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। ফলে হাজার হাজার শরণার্থী পশ্চিমে স্লোভেনিয়ার দিকে যেতে বাধ্য হচ্ছে। হাঙ্গেরির পরপর স্লোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়াও নিজেদের সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করে।
এ অবস্থায় প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে চরম পরিস্থিতির শিকার হয় শরণার্থীরা। বৃষ্টি আর ঠান্ডার মধ্যেই প্রায় খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করতে বাধ্য হয় তারা। এ পরিস্থিতিতে গত সোমবার রাতে সীমান্তে বিধিনিষেধ শিথিল করে স্লোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়া।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার আট হাজার শরণার্থী স্লোভেনিয়ায় প্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে দুই হাজার শরণার্থী অস্ট্রিয়ার পথে রয়েছে।
তবে বিবিসির প্রতিবেদনে স্লোভেনিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানানো হয়, ক্রোয়েশিয়া থেকে পাঁচ হাজারের মতো শরণার্থীকে স্লোভেনিয়ায় ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯০০ জনের মতো শরণার্থী ইতিমধ্যে অস্ট্রিয়ার পথে রওনা দিয়েছে।
স্লোভেনিয়া সরকারের এক বিবৃতিতে গতকাল মঙ্গলবার জানানো হয়, সীমান্তে শরণার্থী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে সহায়তা দিতে সেনা মোতায়েন করা হবে। সেনা মোতায়েনের জন্য পার্লামেন্টের অনুমোদন চাওয়া হবে।
সোমবার গভীর রাতে ক্রোয়েশিয়াও শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়। বিভিন্ন সংগঠনের সাহায্যকর্মীরা ঠান্ডায় শরণার্থীদের ভয়াবহ অবস্থার কথা উল্লেখ করলে তিন হাজার লোককে ঢুকতে দেয় ক্রোয়েশিয়া। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র মেলিতা সানজিক বলেন, কোনো ঘোষণা ছাড়াই সীমান্ত খুলে দেয় ক্রোয়েশিয়া।
গ্রিসে ঢুকেছে পাঁচ লাখের বেশি: ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র মেলিসা ফ্লেমিং গতকাল জানান, চলতি বছর এ পর্যন্ত সাগর পাড়ি দিয়ে পাঁচ লাখের বেশি শরণার্থী গ্রিসে ঢুকেছে। এরাই সেখান থেকে পশ্চিমমুখে যাত্রা করছে। এই মুহূর্তে তুরস্ক থেকে সাগরপথে গ্রিসে ঢোকার পথে আছে আরও সাড়ে ২৭ হাজার শরণার্থী।