খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেহ সিনিহুবোভ খারকিভ শহর থেকে রুশ বাহিনীর পিছু হটার দাবি করলেও সতর্ক করেছেন, পরিস্থিতি এখনো গুরুতর এবং যাঁরা আবার ঘরে ফিরতে চাচ্ছেন, ফেরার আগে তাঁরা যেন নিজেদের সুরক্ষার কথাটিও ভাবেন। রুশ সেনারা অঞ্চলটিতে বহু মাইন পুঁতে রেখেছে বলেও জানান তিনি।
তবে রয়টার্সের সাংবাদিকেরা বলছেন, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহরটি নিশ্চুপ। শহরের আশপাশের এলাকায় মস্কো এখনো বোমাবর্ষণ করে চলেছে। এদিকে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে রাশিয়ার গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই অঞ্চলে ইউক্রেনের একটি অস্ত্রাগারে হামলা করেছে রুশ বাহিনী।
পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাল্টা হামলায় রুশ বাহিনীর পিছু হটা যুদ্ধের গতিবেগ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এতে অগ্রসর হওয়া রুশ বাহিনীর অবস্থান ধরে রাখা ঝুঁকিতে পড়েছে। ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে এখন রুশ বাহিনী খারকিভ শহর থেকে তাঁদের সেনাদের সরিয়ে নিচ্ছে।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রধান একটি লক্ষ্য ছিল খারকিভ দখল করা। ইউক্রেনে রুশ বাহিনী ঢোকার পর থেকে শহরটিতে ব্যাপক গোলাবর্ষণ ও হামলা শুরু করে। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে খারকিভের উপকণ্ঠ দখল করে নেয় রুশ বাহিনী। রুশ বাহিনীর হামলায় খারকিভের কয়েক শ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার পাশাপাশি উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিক থেকে স্থল অভিযান শুরু করে রাশিয়া। পশ্চিমা অস্ত্রে সমৃদ্ধ ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে উত্তর দিক থেকে সেনা সরিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে হামলা জোরদার করে রুশ বাহিনী। যুদ্ধের এই পর্যায়ে খারকিভে হামলা হয় বেশি।