পাখির জ্বালায় অতিষ্ঠ পর্যটকেরা। গাঙচিল এসে থালা থেকে খাবার নিয়ে যাচ্ছে। শুধু খাবার নিয়েই যে সন্তুষ্ট থাকছে, এমনটা নয়। যেটা দেখতে খাবারের মতো মনে হচ্ছে, সেটাই ছোঁ মেরে নিয়ে যাচ্ছে তারা। এ থেকে বাঁচতেই পর্যটকদের দেওয়া হচ্ছে জল-বন্দুক। অভিনব এমন ঘটনা ঘটছে ইতালির ভেনিসে।

গাঙচিলের এভাবে খাবার ছিনিয়ে নেওয়ার বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়েছে পর্যটকদের মাধ্যমে। এর একটিতে দেখা যায়, একটি গাঙচিল উড়ে এসে খাবার নিয়ে চলে যাচ্ছে। আরেকটিতে দেখা যায় সমুদ্রতীরে পর্যটকের যেখানে জিরিয়ে নেন, সেখানে একটি প্যাকেটে অনবরত ঠোকরাচ্ছে একটি গাঙচিল।

পর্যটকদের হাতে জল-বন্দুক তুলে দেওয়ার এমন সিদ্ধান্ত হুট করে আসেনি। ভেনিসের হোটেলমালিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ রীতিমতো বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর থেকে ভেনিসের হোটেলে যাঁরা থাকছেন, তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে জল-বন্দুক। এই বন্দুকে যে পানি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি কমলা রঙের।

বার্তা সংস্থা ইউপিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, কমলা রঙের পানি কেন ব্যবহার করা হচ্ছে, তারও একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভেনিসের গ্রিতি হোটেলের পরিচালক পাওলো লোরেনজোনি। তিনি বলেন, এই জল-বন্দুক সত্যি কাজ করছে। এই বন্দুকে কমলা রঙের পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। কমলা রঙের এই পানি সাধারণত পাখিরা পছন্দ করে না।

গাঙচিলও ইতিমধ্যে বুঝতে শুরু করেছে তাদের ঠেকানোর জন্য এই জল-বন্দুক ব্যবহার করা হচ্ছে। পাওলো বলেন, গাঙচিল যখনই দেখছে পর্যটকদের হাতে বন্দুক রয়েছে, তখনই দিক পরিবর্তন করছে তারা। তিনি বলেন, ‘আপনার এই বন্দুক ব্যবহারেরও প্রয়োজন নেই। শুধু বন্দুকটি টেবিলে রাখলেই হচ্ছে। গাঙচিল আর আসছে না খাবার ছিনিয়ে নিতে।’

এই জল-বন্দুকের সঙ্গে যদি গাঙচিল অভ্যস্ত হয়ে যায় তবে কী হবে, বিষয়টিও বিবেচনায় রাখছে ভেনিসের হোটেলমালিকদের সংগঠন আভা। তারা বলছে, পরবর্তী সময়ে শব্দযন্ত্র বা তড়িৎযন্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে।