গ্রেপ্তার প্রধান সন্দেহভাজন ‘পাকিস্তানি’

ছুরি হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ ক্যাসটেক্স
ছবি: রয়টার্স

ফ্রান্সের প্যারিসে ব্যঙ্গাত্মক সাপ্তাহিক শার্লি হেবদোর সাবেক কার্যালয়ের বাইরে ছুরি হামলায় দুজনকে আহত করার ঘটনায় গতকাল শুক্রবার দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী তদন্তকারীরা সন্দেহভাজন আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছেন।

হামলার প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তির খোঁজে প্যারিসের একটি বাড়িতে অভিযান পরিচালনার সময় গ্রেপ্তার করা হয় ওই পাঁচজনকে। এ নিয়ে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

বিচার বিভাগীয় একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে আজ শনিবার জানায়, রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠে প্যানটিন এলাকার এক বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা ওই পাঁচজনের জন্ম ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে। এর আগে বৃহস্পতিবার হামলার কয়েক ঘণ্টা পর গুরুত্বপূর্ণ সন্দেহভাজন একজনকে ও তাঁর আগে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে পুলিশ আরেকজনকে আটকের পর শুক্রবার রাতে তাঁকে ছেড়ে দেয়। বিচার বিভাগীয় সূত্র আরও বলছে, হামলার সময় ঘটনাস্থলের কাছে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী এই ব্যক্তি হামলাকারীকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন।
সরকারি কৌঁসুলিরা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সাতজনের মধ্যে হামলার ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তিও রয়েছেন। তাঁকে হামলার ঘটনাস্থলের খুব বেশি দূর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাঁরা জানান, হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘হত্যার চেষ্টা’ ও ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আভাস পাওয়া গেছে, ১৮ বছর বয়সী এই যুবকের জন্ম পাকিস্তানে।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিনের দাবি, এটা স্পষ্টতই কোনো উগ্রবাদী সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা।
কয়েক বছর আগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর কার্টুন ছেপে শার্লি হেবদো বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে পত্রিকাটির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। পরে পত্রিকাটির কার্যালয়ে রক্তক্ষয়ী হামলার ঘটনাও ঘটে।