চার শ মানুষ আশ্রয় নেওয়া স্কুলে রুশ বোমা হামলা
ইউক্রেনের মারিউপোল শহরের একটি স্কুলে বোমাবর্ষণ করেছে রুশ বাহিনী। যুদ্ধ থেকে বাঁচতে ওই স্কুলে প্রায় চার শ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। গতকাল শনিবার এই হামলা চালানো হয় বলে মারিউপোল সিটি কাউন্সিল জানিয়েছে। তবে তারা হতাহতের কোনো তথ্য এখনো দিতে পারেনি। খবর বিবিসির।
এক আপডেট টেলিগ্রামে মারিউপোল সিটি কাউন্সিল জানায়, হামলায় ভবনটি বিধ্বস্ত হয়েছে। লোকজন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। শিশু, নারী ও বয়স্ক ব্যক্তিরা স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বর্তমানে মারিউপোল শহরে ভয়াবহ লড়াই চলছে। শহরের সঙ্গে যোগাযোগ করা খুবই কঠিন। শহর কর্তৃপক্ষের দাবি তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।
এর আগে গত বুধবার মারিউপোল শহরের একটি থিয়েটারে বোমাবর্ষণ করে রুশ বাহিনী। থিয়েটারটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। হামলার সময় সেখানে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ মানুষ অবস্থান করছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলার পর তাঁদের কতজন বেঁচে আছেন, তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে সিএনএন।
গতকাল প্রকাশিত এক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, থিয়েটার ভবনের দুই-তৃতীয়াংশ বিধ্বস্ত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত ভবনটির ছাদে রুশ ভাষায় ‘শিশু’ লেখা ছিল, যা ওপর থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল।
বর্তমানে মারিউপোল শহরের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। শহরের রাস্তায় রাস্তায় ইউক্রেনীয় ও রুশ বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে। ইতিমধ্যে শহরের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছে গেছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের এই বাণিজ্যিক শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া রাশিয়ার জন্য বড় ধরনের কৌশলগত অর্জন হিসেবে দেখছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা।
এদিকে আজ রোববার যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রা পূর্বাঞ্চলে থমকে যাওয়ায় তারা ইউক্রেনের শহরগুলোতে নির্বিচার গোলাবর্ষণ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া প্রাত্যহিক পোস্টে তারা বলছে, বেশ কিছু শহরে গোলাবর্ষণ করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে বিপুলসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে।
ইউক্রেনে রুশ হামলা আজ ২৫তম দিনে গড়িয়েছে। গত কয়েক দিনে মারিউপোল শহরসহ কয়েকটি ফ্রন্টে কিছুটা অগ্রসর হয়েছে রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর দাবি, স্থল অভিযানে ব্যর্থ হয়ে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া।