করোনাভাইরাস

জার্মানিতে করোনা পরিস্থিতি আবারও ক্রমেই উদ্বেগজনক অবস্থায় যাচ্ছে। সংকট মোকাবিলায় আজ বৃহস্পতিবার জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ১৬ রাজ্যের সরকারপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এ ছাড়া জার্মানির পার্লামেন্ট বা বুন্ডেশটাগে এ নিয়ে বিশেষ অধিবেশন বসে।

জার্মানির সংক্রামক রোগ গবেষণা কেন্দ্র রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক লোথার ভিলার বলেছেন, ‘গত এক সপ্তাহে জার্মানিতে যেভাবে করোনার বিস্তৃতি ঘটছে, তা বন্ধ করা না গেলে আমাদের জন্য অন্ধকারময় সময় অপেক্ষা করছে।’

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, ‘এ নাটকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে করোনা চতুর্থ ঢেউ পুরো শক্তি দিয়ে আমাদের দেশে আঘাত করার পর।’

গত বুধবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিজুড়ে ৬৫ হাজার ৩৭১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬৪ জন। এক সপ্তাহ আগে গত বুধবার সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার।

রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের সংখ্যা গত সপ্তাহ থেকে ঊর্ধ্বমুখী। এখন পর্যন্ত জার্মানিতে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন ৯৯ হাজার মানুষ। শিগগিরই মৃত্যু ১ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন।

লোথার ভিলার বলেন, সংকট মোকাবিলায় রাজনৈতিক নেতারা গুরুত্বসহকারে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। এ পরিস্থিতিতে বড়দিনে অন্ধকারাচ্ছন্ন সময় পার করতে হতে পারে। তিনি দ্রুত টিকা, যেসব অঞ্চলে সংক্রমণ বেশি সেখানে চলাফেরায় বিধিনিষেধ জারি করাসহ টিকা বাধ্যতামূলক করতে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের দাবি জানান।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর জার্মানির ২০তম নির্বাচনে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ক্ষমতাসীন দল পরাজিত হয়। এখন সেখানে নতুন করে সামাজিক গণতান্ত্রিক দলের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। রাজনৈতিক এই পালাবদলের সময় রাজনীতিকেরা করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর না দেওয়ায় সমালোচনা হচ্ছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, জার্মানির ১৬ রাজ্যের মধ্য যে রাজ্যগুলোতে মানুষের টিকা গ্রহণের হার বেশি, সেখানে সংক্রমণ কম। যেখানে করোনা বিধিনিষেধ বা সুরক্ষা আইনের বিরোধিতা করে মিটিং-মিছিল হয়েছে, সেখানে করোনা ভয়াবহ আকার নিয়েছে।