প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাঁরা দেশটিতে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য যোগ্য হবেন, তাঁরা শুরুতে এক বছরের রেসিডেন্সি স্ট্যাটাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক বছর পর জার্মানিতে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে হবে। তবে তাঁদের অবশ্যই স্বাধীন জীবন যাপন করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জন করতে হবে, জার্মান ভাষায় কথা বলতে হবে এবং তাঁরা যে সমাজে ‘সংহত’ তা প্রমাণ করতে হবে।
তবে ২৭ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিরা ইতিমধ্যেই জার্মানিতে তিন বছর থাকার পর স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারেন।
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই, যারা সুসংহত, তারা আমাদের দেশের সুযোগ–সুবিধা ভোগ করুক। এভাবেই যারা ইতিমধ্যে আমাদের সমাজের অংশ হয়ে উঠেছে, তাদের নিয়েই আমরা আমলাতন্ত্র ও অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাতে পেরেছি।’
নতুন এই অভিবাসন আইনের কারণে আশ্রয়প্রত্যাশীদের জার্মান ভাষা শেখার বিষয়টিকে আরও সহজ করে তুলবে। আগে শুধু আশ্রয় আবেদনকারী প্রার্থীরা ভাষার ক্লাসে নথিভুক্ত হওয়ার সুযোগ পেতেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষ কর্মী, যেমন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞসহ অন্যরা যাঁরা দেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি কাজ করছেন, তাঁরা নতুন এ আইনের ফলে এখন জার্মানিতে পরিবারও নিয়ে যেতে পারবেন। পরিবারের সদস্যদের ভাষার দক্ষতা নিয়ো কোনো শর্তও থাকবে না। আগে এ সুযোগ ছিল না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার বলেন, ‘আমাদের দ্রুত দক্ষ কর্মীদের আকৃষ্ট করতে হবে। দেশের বিভিন্ন সেক্টরে তাঁদের খুব প্রয়োজন। আমরা চাই দক্ষ কর্মীরা খুব দ্রুত এ দেশে আসুন এবং সফলতা অর্জন করুন।’
জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন অভিবাসী বিল অপরাধীদের নির্বাসন আরও সহজ করে তুলবে। এ মেয়াদ বাড়ানোর উদ্দেশ্য হলো নির্বাসনের জন্য কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুতের জন্য আরও সময় দেওয়া, যেমন অপরাধীর পরিচয় স্পষ্ট করে জানা, হারিয়ে যাওয়া কাজগপত্র পাওয়া এবং উড়োজাহাজে আসন নিশ্চিত করা।