পুলিশের ঘরে ‘চোর’
পুলিশের কাজ অপরাধ দূর করা। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যখন সেই পুলিশের নাকের ডগায় অপরাধ সংঘটিত হয়, তখন নড়েচড়ে বসতে হয়। হোক সেটা অফলাইন কিংবা অনলাইনে। সম্প্রতি পোল্যান্ডের পুলিশ এমনই এক অপরাধ কার্যক্রম শনাক্ত করেছে। দেশটির রাজধানী ওয়ারশতে পুলিশ সদর দপ্তরে বসে একজন ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের ব্লকচেইন বেআইনিভাবে সমৃদ্ধ করে আসছিলেন।
এ ঘটনায় পোল্যান্ডের গণমাধ্যম গত শুক্রবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ সদর দপ্তরে বসে সন্দেহভাজন একজন ডিজিটাল মাধ্যমে বেআইনিভাবে বিটকয়েন বানিয়ে আসছিলেন। এ জন্য তিনি সদর দপ্তরের বিদ্যুৎ–সংযোগ চুরি করেছিলেন।
পোল্যান্ডের পুলিশের মুখপাত্র ম্যারিউস চিয়ারকা দেশটির টিবিএন২৪ নিউজ চ্যানেলে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে এই অপরাধ পুলিশ সদর দপ্তরে ঘটেছে। তবে এতে পুলিশ সদস্য নন, বরং একজন সাধারণ কর্মী যুক্ত। যদিও ওই সন্দেহভাজন পুলিশের অনলাইন তথ্যভান্ডারে প্রবেশ করতে পারেননি। তিনি আরও জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই এই অপরাধ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তবে কবে নাগাদ এই ঘটনা পুলিশের নজরে এসেছে, সেটা জানাননি তিনি।
পোল্যান্ডের গণমাধ্যমের খবর, এই ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত সন্দেহে আরও একজনকে চাকরিচ্যুত করা হতে পারে।
বিটকয়েন মূলত ডিজিটাল মুদ্রা, যা ডিজিটাল লেনদেনে ব্যবহার হয়। বিটকয়েন ব্লকচেইনে নতুন মুদ্রা যুক্ত করার জন্য অত্যাধুনিক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও উচ্চক্ষমতার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ–সংযোগের প্রয়োজন হয়। অনেকটা জাল নোট কিংবা মুদ্রা তৈরির মতো অপরাধীরা বিটকয়েনের ব্লকচেইন সমৃদ্ধ করে থাকেন।
মূলত ডিজিটাল পাজলে কঠিন কঠিন গাণিতিক সমস্যা সমাধান করেন তাঁরা নতুন বিটকয়েন বানিয়ে থাকেন। পরে অত্যাধুনিক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তা ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্লকচেইনে যুক্ত করা হয়। জটিল এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে ওই সন্দেহভাজন ওয়ারশর পুলিশ সদর দপ্তরের বিদ্যুৎ–সংযোগ ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ।