পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ায় সেনা পাঠাচ্ছে জার্মানি ও যুক্তরাজ্য
রাশিয়ার হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনকে সহযোগিতা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও সেনা পাঠাচ্ছে জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। আজ সোমবার এ দুই দেশ এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, পোল্যান্ডের সীমান্তে সাড়ে তিন শ সেনা মোতায়েন করবে যুক্তরাজ্য। দেশটির সেনা ইতিমধ্যে সেখানে রয়েছে। তবে নতুন করে যে সেনা পাঠানো হচ্ছে, সেই সেনা কবে ওই সীমান্তে পৌঁছাবে, সে–সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এখনো জানা যায়নি।
এদিকে জার্মানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা লিথুয়ানিয়ার সীমান্তে আরও সাড়ে তিন শ সেনা পাঠাবে।
জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিন ল্যামব্রেচট আজ বলেন, ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া—এ আশঙ্কা থেকে সেখানে সেনা পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এসব সেনা সেখানে মোতায়েন করা হবে। পূর্ব ইউরোপে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর বাহিনীর শক্তিশালী করতে এ সেনা পাঠানো হচ্ছে।
সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে এই মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনি আমাদের ওপর নির্ভর করতে পারেন—মিত্রদের এ বার্তা দেওয়ার জন্য সেখানে নতুন করে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।’
ন্যাটো বাহিনীর অংশ হিসেবে লিথুয়ানিয়ায় ইতিমধ্যে জার্মানির ৫০০ সেনা রয়েছে। নতুন করে সেনা পাঠানো হলে জার্মানির জন্য এটা হবে কোনো দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেনা উপস্থিতি। জার্মানির সবচেয়ে বেশি সেনা রয়েছে মালিতে।
সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো ছাড়াও কূটনৈতিক তৎপরতা জারি রেখেছে পশ্চিমা দেশগুলো। ইউক্রেন সংকট নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে বর্তমানে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। এ ছাড়া ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ আজ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।