পোশাকে সচেতন হতে হবে ব্রিটিশ এমপিদের

পার্লামেন্টের অধিবেশনে বরিস জনসন
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের মহামারির ধাক্কা অনেকাংশে কাটিয়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে আবারও সশরীর অধিবেশন বসতে চলেছে। অধিবেশনের প্রাক্কালে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হলকে অন্য কিছু নয়, সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে এমপিদের পোশাক। তাই তিনি রীতিমতো আচরণবিধি জারি করে ব্রিটিশ এমপিদের পোশাকের বিষয়ে সচেতন হতে বলেছেন। পার্লামেন্টে জিনস, বাসায় পরা হয় এমন প্যান্ট পরে আসতে মানা করেছেন। এমনকি টি-শার্টও পরে অধিবেশনে যোগ দেওয়া যাবে না।

করোনার কারণে যুক্তরাজ্যে বিধিনিষেধ চলায় পার্লামেন্টের অধিবেশন এর আগে হয়েছে ভার্চ্যুয়ালি। এখন পরিস্থিতি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আসায় সশরীর অধিবেশনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী গ্রীষ্মকালীন অবকাশ কাটিয়ে আগামী সপ্তাহে অধিবেশন বসবে সশরীর। হাউস অব কমন্সের সাবেক স্পিকার জন বারাকো পোশাকের বিষয়ে বেশ উদার ছিলেন। তাঁর সময়ে কোনো কোনো এমপির পোশাক তো রীতিমতো সংবাদ শিরোনামও হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতাই মূলত চিন্তায় ফেলেছে বর্তমান স্পিকার লিন্ডসে হলকে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, এর আগে গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস বিষয়ে বিতর্ক চলাকালে ‘স্মার্ট’ পোশাক না পরায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টকে তিরস্কার করেছিলেন স্পিকার। এমনকি করোনা মহামারি শুরুর আগে তৎকালীন লেবার পার্টির নারী এমপি টেরেসি ব্রাবিনের (বর্তমানে ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের মেয়র) পোশাক সবার নজর কেড়েছিল। পরবর্তী সময়ে আলোচিত ওই পোশাক নিলামে ২০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি হয়। সেই অর্থ দাতব্য কাজে ব্যবহার করেছিলেন টেরেসি।

এসব অভিজ্ঞতার কারণেই অধিবেশনের প্রাক্কালে স্পিকার লিন্ডসে হল পোশাক ও আচরণের বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছেন। এই নির্দেশনায় তিনি পুরুষ এমপিদের টাই ও জ্যাকেট পরে অধিবেশনে যোগ দিতে উৎসাহিত করেছেন। শুধু পোশাক নিয়েই চিন্তিত নন স্পিকার। এমপিদের জুতা নিয়েও নির্দেশনা জারি করেছেন তিনি। নির্দেশনায় বাসায় পরা হয় কিংবা খেলাধুলা বা ব্যায়ামের সময় পরা হয় এমন জুতা পরে পার্লামেন্টে আসা নিষেধ করেছেন স্পিকার লিন্ডসে হল।