বিচ্ছেদের পর কুকুরটির দেখভাল করতে হবে স্বামী–স্ত্রী দুজনকেই
বিচ্ছেদ হয়ে গেছে এক দম্পতির। আলাদা থাকছেন তাঁরা। কিন্তু পোষা কুকুরটিকে নিয়ে দেখা দিয়েছে বিপত্তি। প্রিয় কুকুরটিকে হাতছাড়া করতে চান না দুজনের কেউই। শেষ অবধি বিষয়টি গড়ায় আদালতে। পোষা কুকুরটিকে নিজেদের কাছে রাখার আবেদন জানান সদ্যবিচ্ছেদ হওয়া স্বামী–স্ত্রী দুজনেই। আদালত দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর কুকুরটির দেখভালের দায়িত্ব স্বামী–স্ত্রী দুজনকে ভাগ করে দিয়েছেন।
ঘটনাটি ইউরোপের দেশ স্পেনে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মাদ্রিদের এক দম্পতির পান্ডা নামে পোষা একটি কুকুর রয়েছে। সম্প্রতি ওই দম্পতি আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে বিচ্ছেদের পর পান্ডা কার কাছে থাকবে এটা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন দুজনে। কুকুরটিকে নিজেদের কাছে রাখার আবেদন করেন তাঁরা।
এই ঘটনায় মাদ্রিদের একটি আদালত তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালত আদেশ দিয়েছেন, পোষা কুকুর পান্ডার দেখভালের দায়িত্ব সদ্যবিচ্ছেদ হওয়া স্বামী–স্ত্রী দুজনকে যৌথভাবে পালন করতে হবে। এখন থেকে প্রতি মাসে সমান সংখ্যক দিন কুকুরটি দুজনের কাছে থাকবে।
স্পেনে সম্প্রতি প্রণয়ন করা একটি আইনের খসড়ায় জীবজন্তুর আইনগত জীবন্ত সত্ত্বার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে জীবজন্তুর আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় বিচ্ছেদ হওয়ার পর ওই দম্পতি কুকুরের দেখভালের দায়িত্ব চেয়ে আদালতে আবেদন করতে পেরেছেন।
স্থানীয় একটি পশুদের আইনী সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের হয়ে ১৯৮৭ সালে জারি করা ইউরোপিয়ান কনভেনশন ফর দি প্রোটেকশন অব পেট এনিমেলস–এর আওতায় পান্ডার মালিকানা নিয়ে আদালতে লড়েছেন লোলা গার্ক। স্পেন এই সনদটি ২০১৭ সালে অনুমোদন দিয়েছে। লোলা গার্ক বলেন, এটা একটি যুগান্তকারী আদেশ। এর মধ্য দিয়ে আমার গ্রাহক পোষা ওই কুকুরটির শুধু সহ–মালিক হয়েছেন এমনটা নয়, বরং তিনি কুকুরটির দেখভালের অর্ধেক দায়িত্বও পেয়েছেন।
শুধু স্পেনে নয়, এর আগে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সে পোষা কুকুরের মালিকানা নির্ধারণ, দেখভালের দায়িত্ব বন্টন এবং পশুদের অধিকার নিশ্চিতের জন্য আইন করা হয়েছে।