মাঁখোর সঙ্গে আলাদা কোনো বৈঠক করবেন না মরিসন
জাতিসংঘের অধিবেশনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাঁখোর সঙ্গে কোনো আলোচনা করবেন না বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার এ কথা জানান তিনি। খবর রয়টার্সের।
সম্প্রতি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি নিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্কে সংকট দেখা দিয়েছে। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের সাবমেরিন-সংশ্লিষ্ট একটি চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তির আর্থিক মূল্য চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
ফ্রান্স এই চুক্তি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান একে ‘পেছন থেকে ছুরি মারার মতো’ বলে উল্লেখ করেছেন। ক্যানবেরা এবং ওয়াশিংটন থেকে নিজ দেশের রাষ্ট্রদূতদের সরিয়েও নেয় ফ্রান্স।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উত্তেজনা নিরসনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাঁখোর সঙ্গে ফোনে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেছেন, মাঁখোর সঙ্গে কোনো দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় তিনি বসবেন না।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এ ধরনের কোনো বৈঠক হবে কি না, নিউইয়র্কে সাংবাদিকেরা মরিসনের কাছে জানতে চান। মরিসন বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মতো কোনো সুযোগ এখন নেই। আমি নিশ্চিত, এ ধরনের সুযোগ আগামীতে আসবে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো গত সোমবার ফ্রান্সের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে। নিরাপত্তাবিষয়ক এই চুক্তি নিয়ে আগামী ১২ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া ও ইইউ আরেক দফা বৈঠক করবে। এই চুক্তির অধীনে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিনের প্রযুক্তি সরবরাহ করবে ওই দুই দেশ।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে নিউইয়র্কে মরিসন বাইডেন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে পার্শ্ব বৈঠক করবেন। এ সপ্তাহের শেষে কোয়াডের বৈঠকে যোগ দিতে ওয়াশিংটনে যাওয়ার আগেই এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।