মাখোঁর জয়ের পর প্যারিসে বিক্ষোভ, পুলিশের কাঁদানে গ্যাস
দ্বিতীয় মেয়াদে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন এমানুয়েল মাখোঁ। গতকাল রোববার ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভ শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করছে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ছে। খবর রয়টার্সের।
টুইটারে পোস্ট হওয়া ছবির বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর প্যারিসের শ্যাতেলেটে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ। তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ তা ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করা হয় এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়।
গতকাল ভাগ্যনির্ধারণী চূড়ান্ত পর্বের (রানঅফ) ভোটে উগ্র ডানপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত মারিন লা পেনকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে পাঁচ বছরের জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন এমানুয়েল মাখোঁ। এর মধ্য দিয়ে ফ্রান্সের রাজনীতিতে বড় ধরনের একটি দুঃখজনক ঘটনা এড়ানো গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
তবে ডানপন্থী ও মধ্যপন্থীদের নিয়ে ফ্রান্সের মানুষের মধ্যে বিভাজন আবার স্পষ্ট হয়েছে। মাখোঁ সহজ জয় পেলেও গতবারের চেয়ে এবার ভোটের ব্যবধান আরও কমেছে। এদিকে ১৯৬৯ সালের পর এ বছর ভোটার উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে কম। কোনো কারণে ভোটারদের একটা অংশ মাখোঁ অথবা লা পেন, কাউকেই পছন্দ করেননি।
এ মাসের শুরুতে প্রথম দফার ভোট ও গতকাল দুই প্রার্থীর মধ্যে হওয়া রানঅফ ভোটের মধ্যে ফ্রান্সে শিক্ষার্থীরা প্যারিসের সরবন এলাকা ছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে এমানুয়েল মাখোঁ কিংবা মারিন লা পেনের কাউকে যে তাঁদের পছন্দ নয়, সে বিষয় প্রকাশ করেন।