মাদ্রিদে আংশিক লকডাউন

মাদ্রিদের হাসপাতালে নতুন রোগী আনা হচ্ছে।
ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় প্রায় ৩০ লাখ মানুষের শহর মাদ্রিদে আবার নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপে কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় তরঙ্গ  নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে স্পেন।

মাদ্রিদের আরোপ করা নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী, কেবল জরুরি প্রয়োজনেই মানুষ নিজ এলাকার বাইরে যেতে পারবে। বার ও রেস্তোরাঁগুলো রাত ১০টার পর খোলা রাখা যাবে না। যেকোনো জায়গায় ছয়জনের বেশি মানুষ একত্র হতে পারবেন না।

স্পেনের ফেডারেল সরকারের চাওয়া অনুযায়ী এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মাদ্রিদের বাইরে আরও ৯টি শহর আংশিক লকডাউনের আওতায় আসছে।

অবশ্য মাদ্রিদের নগর কর্তৃপক্ষ লকডাউন চায়নি। তারা লকডাউন ঠেকাতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে। সেখানকার কর্তৃপক্ষ বলছে, লকডাউনে তাদের অর্থনীতির ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হবে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেনে কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় তরঙ্গ চলছে। মাদ্রিদের বড় হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ভর্তি বেড়ে গেছে। প্রতি ঘণ্টায় মাদ্রিদের সবচেয়ে বড় হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী আসতে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে অনেক রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে।

মাদ্রিদের অনেক হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ভর্তি হয়ে গেছে।

মহামারি বাড়তে থাকায় অতিরিক্ত সক্ষমতা কাজে লাগাতে হচ্ছে হাসপাতালগুলোকে। আগুনে পোড়া রোগীদের জন্য নির্ধারিত বেডগুলো এখন করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দ করতে হচ্ছে।

মাদ্রিদের অন্যতম বৃহৎ লা পাজ হাসপাতালের ৩০টি আইসিইউ ইতিমধ্যে ভর্তি হয়ে গেছে। এর চেয়ে আরও বেশি রোগী আইসিইউ পাচ্ছেন না। মানসিকভাবে চিকিৎসাকর্মীরা আবার রোগীর সুনামির আশঙ্কা করছেন।