রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কিয়েভ পৌঁছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেছেন। দুই মন্ত্রী ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আরও ৩২ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, আমরা জিতব, তারা (ইউক্রেন) যদি সঠিক অস্ত্র ও সমর্থন পায়, তাহলে তারাও জিতবে।’
অস্টিন আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই, রাশিয়া এতটাই দুর্বল হয়ে যাবে যে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে তারা যা করেছে, সেটা যেন আর করতে না পারে তারা।’
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনে আরও ৮০ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তার কথা জানিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দুই মন্ত্রীর কিয়েভ সফর নিয়ে উদ্বিগ্ন মস্কো। যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত অ্যান্টনি অন্তোনভ বলেছেন, রাশিয়াকে দুর্বল করতেই এ ধরনের অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু এটা (অস্ত্র সরবারহ) শান্তি আলোচনাকে পাশ কাটিয়ে বরং যুদ্ধকেই অব্যাহত রাখছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টিভি চ্যানেলকে অন্তোনভ বলেন, আমেরিকানরা আগুনে তেল ঢালছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি কেবলই দেখছি পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর ও উদ্বেগ তৈরির চেষ্টা চলছে। যাতে আরও ক্ষয়ক্ষতি হয়।’
এদিকে ভ্লাদিমির পুতিন আবারও ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের যুক্তি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ জরুরি ছিল, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ব্যবহার করে রাশিয়াকে ভয় দেখাচ্ছিল।
মারিউপোলে যুদ্ধবিরতি
ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোলের আজভস্তাল ইস্পাত কারখানায় আটকা পড়েছেন ইউক্রেনের নৌসেনাদের একটি দল ও কয়েক শ বেসামরিক নাগরিক। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আটকা পড়া ব্যক্তিদের অনেকই আহত। এ ছাড়া বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে নারী ও শিশুও আছে, যারা খুব সামান্য ও প্রায় খাবারহীন অবস্থায় টিকে আছে। অবশেষে গতকাল সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইস্পাত কারখানাটির আশপাশে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। যাতে আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকেরা বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গতকাল মস্কোর স্থানীয় সময় বেলা দুইটা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা। এ সময় বেসামরিক নাগরিকেরা যেখানে চাইবেন সেখানে যেতে পারবেন।