মেদভেদচুককে মনে করা হয় ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গৃহবন্দী ছিলেন তিনি। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পরপরই তিনি পালিয়ে যান।
গত মঙ্গলবার মেদভেদচুককে আটক করে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী। পরে গত শনিবার বন্দিবিনিময়ের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সরকারের কাছে সহায়তা চাওয়ার জন্য আটক দুই ব্রিটিশ যোদ্ধার প্রতি আহ্বান জানান মেদভেদচুকের স্ত্রী।
রুশ সেনাবাহিনীর হাতে আটক দুই ব্রিটিশের একজন শন পিনার। আজ সোমবার রাশিয়ার ‘রোসিয়া ১ টিভি’তে বন্দিবিনিময় নিয়ে তাঁর আবেদন সম্প্রচার করা হয়।
সেখানে বরিস জনসনের উদ্দেশে পিনার বলেন, ‘আমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাতে চাই। আমি আবার আমার স্ত্রীকে দেখতে চাই।’
মেদভেদচুকের আটকের বিষয়টি তিনি জানেন বলে উল্লেখ করেন শন পিনার। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, মেদভেদচুকের সঙ্গে আমাকে ও আইডেন আসলিনকে (রুশ সেনাদের হাতে আটক অপর ব্রিটিশ) বিনিময় করা হোক। এ বিষয়ে আপনার সাহায্য (বরিস জনসন) চাইছি।’
এ বিষয়ে আইডেন আসলিন বলেন, ‘যদি বরিস জনসন ব্রিটিশদের গুরুত্ব দেন, তাহলে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে, মেদভেদচুককে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাপ দেবেন।’
এর আগে মেদভেদচুককে আটকের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রস্তাব দেন, রুশ বাহিনীর হাতে বন্দী ইউক্রেনের তরুণ ও তরুণীদের বিনিময়ে মেদভেদচুককে ছেড়ে দিতে রাজি তিনি।