ফল ঘোষণার পর বরিসকে পাঠানো পদত্যাগপত্রে ডাউডেন লিখেছেন, উপনির্বাচনে দুটি বিপর্যয়কর পরাজয়ের পর স্বাভাবিকভাবে তিনি আর দায়িত্ব চালিয় যেতে পারেন না। অন্য কারও এ দায়িত্ব নেওয়া উচিত।
ডাউডেন বলেন, ‘আমাদের দলের খুবই খারাপ ফলাফল করার সর্বশেষ ঘটনা গতকালের সংসদীয় উপনির্বাচন। সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহে আমাদের সমর্থকেরা বিষণ্ন ও হতাশ। আমি তাঁদের অনুভূতি বুঝতে পারছি।’
ডাউডেন আরও বলেন, ‘আমরা আর এভাবে চালিয়ে যেতে পারি না। কাউকে অবশ্যই দায়িত্ব নিতে হবে। আমারটা আমি শেষ করেছি। এ পরিস্থিতিতে আমার আর দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না।’
এই দুই উপনির্বাচনে হারলে তাঁর পদত্যাগের ধারণাকে আগের রাতেই নাকচ করে দিয়েছিলেন বরিস। রুয়ান্ডায় কমনওয়েলথ সম্মেলনে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় থাকা দলগুলো উপনির্বাচনে কমই জেতে। তবে তিনি আগ্রহ নিয়েই ফলাফল দেখবেন।
করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সরকারি বাসভবনে একাধিক পার্টি আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী বরিস। তাঁর ওই কর্মকাণ্ডের জন্য দল ও দলের বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিতি পাওয়া সেই ঘটনায় শেষ পর্যন্ত দলীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের অনাস্থা ভোটের মুখে পড়েন বরিস। অবশ্য সেই যাত্রায় রক্ষা পান তিনি। এতে তাঁর পক্ষে ২১১ ভোট ও বিপক্ষে ১৪৮ ভোট পড়ে। অবশ্য ভোটের এ ব্যবধানকে দলের ভেতর বরিসের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকেরা।