রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা না মানার অভিযোগ
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও রাশিয়া হামলা অব্যাহত রাখায় ইউক্রেনের মারিউপোল শহর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। সেখানকার সিটি কাউন্সিল আজ শনিবার এ কথা জানিয়ে বলেছে, শহরটিতে মানবিক করিডর চালু করারও ঘোষণা দিয়েছিল মস্কো। কিন্তু মস্কো যুদ্ধবিরতি বা মানবিক করিডরের ঘোষণা—কোনোটিই মানছে না। হামলা অব্যাহত রয়েছে। খবর বিবিসির।
মারিউপোলের ডেপুটি মেয়র শেরহি ওরলভ বিবিসিকে বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়নি। শহরে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। রুশ বাহিনী আমাদের ওপর বোমা হামলা ও কামান থেকে গোলা নিক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। বেসামরিক লোকজন শহর ছাড়তে প্রস্তুত রয়েছেন; কিন্তু হামলা ও গোলার মুখে তাঁরা শহর থেকে বেরোতে পারছেন না।
এ পরিস্থিতিতে মারিউপোলের বেসামরিক লোকজনকে শহরটির ভেতরই নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিটি কাউন্সিল।
আলেকজান্ডার নামে মারিউপোলের একজন বাসিন্দা বিবিসিকে জানান, স্থানীয় সময় আজ সকাল ১০টা থেকে মারিউপোল ও ভোলনোভাখা শহরে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক করিডর চালুর ঘোষণা দিয়েছিল রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে নির্ধারিত সময়ের পরও মারিউপোলে গোলার শব্দ শুনেছেন তিনি।
আলেকজান্ডার আরও বলেন, ‘অনেকেই গাড়ি নিয়ে শহর ছাড়ার জন্য বের হয়েছিলেন। হামলা শুরু হওয়ার পর আবার ফিরে এসেছেন। এখানে গ্রিন করিডর কার্যকর হয়নি। এখন আমি শহরের রাজপথে রয়েছি। প্রতি তিন থেকে পাঁচ মিনিট পর গোলার শব্দ শুনতে পাচ্ছি।’
রুশ সেনাদের ব্যাপক গোলাবর্ষণে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলো সবচেয়ে বেশি চাপের মুখে পড়েছে। সেখানে দুই পক্ষের সেনাদের মধ্যে তুমুল লড়াই হচ্ছে। এর আগে বন্দরনগরী মারিউপোল দখল নিয়ে রুশ সেনারা অবরুদ্ধ করে রেখেছেন জানিয়ে মানবিক সহায়তা শুরু করতে করিডর খোলার আকুতি জানান শহরটির মেয়র।
এ আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, বেসামরিক নাগরিকদের শহরটি ছেড়ে যাওয়ার পথ তৈরি করে দিতে সেখানে ‘নীরবতার শাসন’ প্রতিষ্ঠা করা হবে; সেখানে সাময়িকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে।
মারিউপোলের দখল রাশিয়াকে ইউক্রেনের একটি বড় বন্দরের নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছে। শহরটির সঙ্গে ক্রিমিয়া এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রের সংযোগ রয়েছে।