সানোফি ও জিএসকের টিকা ২০২১ সালের শেষ নাগাদ আসতে পারে
ওষুধ প্রস্তুতকারক সানোফি ও জিএসকে বলেছে, তাদের করোনার টিকা ২০২১ সালের শেষ নাগাদ আসতে পারে। আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দুই জায়ান্ট উদ্ভাবিত করোনার টিকা ২০২১ সালের শেষ দিকের আগ পর্যন্ত প্রস্তুত হবে না বলে আজই জানায় সানোফি ও জিএসকে।
সানোফি ও জিএসকের পরীক্ষামূলক করোনার টিকার মধ্যবর্তী ফলাফলে দেখা গেছে, তা বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতিরোধক্ষমতার সাড়া তৈরিতে কম কাজ করে। এরপরই দুই ওষুধ প্রস্তুতকারকের পক্ষ থেকে টিকার বিষয়ে বক্তব্য এল।
করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্রুত একাধিক টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে যে আশাবাদ তৈরি হয়েছে, তা সানোফি ও জিএসকের আজকের ঘোষণার ফলে একটা বড় ধাক্কা খেল।
সানোফি ও জিএসকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতিরোধক্ষমতার সাড়ার উন্নয়নে টিকা তৈরিতে এই বিলম্ব হবে।
২০২১ সালের মাঝামাঝি সানোফি ও জিএসকের করোনার টিকা আসতে পারে বলে আগে আশা করা হচ্ছিল। এখন সেই সময় পিছিয়ে আগামী বছরের শেষ ভাগে চলে গেল।
করোনার টিকা তৈরিতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে গত এপ্রিলে সানোফি ও জিএসকের কাছ থেকে ঘোষণা আসে।
অবশ্য ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা ইতিমধ্যে এসে গেছে।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ২ ডিসেম্বর মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারের টিকা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। ফাইজারের এই টিকা উদ্ভাবনে সহযোগিতা করেছে জার্মানির প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক। টিকাটি অনুমোদনের পর ৮ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যজুড়ে গণহারে প্রয়োগ শুরু হয়।
যুক্তরাজ্যের পর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছে বাহরাইন। এ ছাড়া কানাডা ও সৌদি আরবও এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে।
ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিতে সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা কমিটি।
ফাইজার-বায়োএনটেকের দাবি, তাদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর।