সবশেষ দেখা মেলে আয়ারল্যান্ডের উপকূলে। এর মধ্যে ২২ দিন পেরিয়েছে, খোঁজ ছিল না। অবশেষে দেখা পাওয়া গেল। তবে আয়ারল্যান্ড উপকূল থেকে ৯০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে, আইসল্যান্ডে উপকূলে। বলছি জনপ্রিয় সিন্ধুঘোটক ‘ওয়ালি’র গল্প। ২২ দিন সাঁতরে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বাড়ির পথে ফিরে আলোচনায় এসেছে স্তন্যপায়ী প্রাণীটি। এর আগে আরও প্রায় চার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছে ওয়ালি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে গতকাল বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, জলজ প্রাণী সিন্ধুঘোটক ওয়ালির নামকরণ করেছিলেন আলোকচিত্রী ও সাফারি গাইড নাথানিয়েল ব্যারি।
সিন্ধুঘোটক মূলত আর্কটিক অঞ্চলের স্তন্যপায়ী প্রাণী। বরফাচ্ছাদিত জলাধারে এদের বাস। তবে পর্যটক ও সার্ফারদের আনাগোনা বেড়ে গেলে অনেক সময় এরা আবাস থেকে বেরিয়ে পড়ে। ওয়ালির ক্ষেত্রেও তা–ই হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবারের গ্রীষ্মে বাস্তুচ্যুত ওয়ালি সিসিলি, স্পেন, ফ্রান্সের উপকূলও পাড়ি দিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছিল। এ যাত্রায় প্রাণীটি প্রায় চার হাজার কিলোমিটার সাঁতার কেটেছে। সবশেষ প্রাণীটিকে আয়ারল্যান্ডের ওয়েস্ট কর্কের উপকূলে দেখা যায় বলে জানায় বিবিসি।
এরপর নিখোঁজ হয় ওয়ালি। টানা ২২ দিন কোথাও দেখা যায়নি সিন্ধুঘোটকটিকে। ধারণা করা হচ্ছিল, হারিয়ে গেছে ওয়ালি কিংবা মারা গেছে। তবে গত রোববার আবারও ওয়ালিকে দেখা গেছে। ওয়েস্ট কর্ক থেকে ৯০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে, আইসল্যান্ডের উপকূলে। আইরিশ সিল রেসকিউ কর্তৃপক্ষ টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ‘টানা ২২ দিন খোঁজ না পেয়ে আমরা ওয়ালির আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম।’
ওয়ালির একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ছবি ও শরীরে থাকা দাগ দেখে সিন্ধুঘোটকটিকে ওয়ালি বলে শনাক্ত করেছে ব্রিটিশ ডাইভারস মেরিন লাইফ রেসকিউ লিমিটেড। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই প্রাণীটি আর্কটিকের বরফঢাকা চিরচেনা আবাসে ফিরতে পারবে।