করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনকেন্দ্রে কড়াকড়ি

দার্জিলিং।
ফাইল ছবি।

পশ্চিমবঙ্গে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু ধীরে ধীরে কমে আসায় জনজীবনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। এর ফলে রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে বেড়ে গেছে পর্যটকদের আসা–যাওয়া। এমন প্রেক্ষাপটে স্থানীয় প্রশাসকেরা পর্যটনকেন্দ্রে ঢুকতে কড়াকড়ি বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। পর্যটনকেন্দ্রে যেতে হলে দুই ডোজ করোনার টিকা বা করোনার নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

লোকাল ট্রেন, স্কুল–কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ৩০ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাবিধি কিছুটা শিথিল করায় ও সংক্রমণ ক্রমে কমে আসায় অনেকেই নানা পর্যটনকেন্দ্রে ছুটছেন। দার্জিলিং, দীঘা, মন্দারমণি, শংকরপুর, তাজপুরসহ বকখালী এবং সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপ এলাকায় ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের।

করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে পর্যটকদের দুই ডোজ টিকা অথবা করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অন্যথায় হোটেলে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না তাঁদের। এই লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের নির্দেশে প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ। পর্যটকেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন কি না, বিষয়টি নিশ্চিত করতে তল্লাশি চালাচ্ছে তারা। দীঘা ও বকখালীতে পর্যটকদের কাছে এসব প্রমাণপত্র না পেলে তাঁদের ফিরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। শনিবার থেকে কড়াকড়ি আরোপের পর সোমবার পর্যন্ত নিয়ম ভঙ্গ করায় দার্জিলিংয়ের পুলিশ ২৬৬ জন পর্যটককে আটক করেছে।

গতকাল সোমবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে প্রকাশিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনার মৃত্যুশূন্য আরেকটি দিন কাটিয়েছে কলকাতা। এর আগে শুক্রবারও কলকাতায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি। এই সময়ে রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬৬ জন। আর মারা গেছেন ১২ জন।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের ২৩টি জেলার ১৬টিতে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও ৭টি জেলায় মারা গেছেন ১২ জন। এর মধ্যে দার্জিলিংয়ে ৩, জলপাইগুড়িতে ১, নদীয়ায় ১, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩, হাওড়ায় ১, হুগলিতে ১ এবং উত্তর চব্বিশ পরগনায় ২ জন মারা গেছেন।