তবে শেষরক্ষা হয়নি...

প্রতীকী ছবি
রয়টার্স

রেলওয়েতে প্রকৌশলী পদে চাকরি করেন তিনি। রেলের ইঞ্জিন কিংবা বগিতে ত্রুটি ধরা পড়লে সেগুলো মেরামত করা তাঁর পেশাগত দায়িত্ব। অথচ তিনিই রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি রেলের একটি পুরোনো ইঞ্জিন বিক্রি করে দিয়েছেন! এ জন্য ওই ইঞ্জিনের ভুয়া নথি তৈরি করেছেন। ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। তাঁর এমন কাজের খবর ফাঁস হয়ে গেছে। জালিয়াতির এমন ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

ঘটনাটি ভারতের বিহার রাজ্যে। দেশটির সংবাদমাধ্যম জি নিউজ গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই প্রকৌশলীর নাম রাজীব রঞ্জন ঝাঁ। তিনি বিহারের সমস্তিপুর লোকো ডিজেল শেডে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে পুর্নিয়া কোর্ট স্টেশনে পুরোনো একটি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন অকেজো পড়ে ছিল। রাজীব ওই ইঞ্জিনের ভুয়া নথি তৈরি করেন। এরপর সেটি বিক্রি করে দেন। এই কাজে তাঁকে সহায়তা করেন এই স্টেশনের কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী ও কর্মকর্তা।

রেল রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি। যে কেউ চাইলে রেলের সম্পদ নিজের বলে বিক্রি করতে পারেন না। এটা পুরোপুরি বেআইনি। এই বেআইনি কাজটি করতে ভুয়া নথি তৈরি করেছিলেন রাজীব ও তাঁর সহযোগীরা। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেআইনি বেচাকেনার ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ ডিসেম্বর। দুই দিন পর এই খবর ফাঁস হয়ে যায়। প্রকৌশলী রাজীব ওই ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশ সেখান থেকে সরাতে গেলে কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে যান। এ সময় সুশীল নামে আরও একজন তাঁকে সহযোগিতা করেন।

জানা গেছে, সেই সময় স্টেশন ইনচার্জ রাজীবের কাছে রেলের ইঞ্জিনের অংশ আলাদা করার কারণ জানতে চান। তখন রাজীব তাঁকে একটি সরকারি অনুমোদনপত্র দেখান। তাতে লেখা ছিল, পুরোনো ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ খুলে খুলে বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সন্দেহ হলে স্টেশন কর্তৃপক্ষ কাজ করতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে রাজীবের জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ে। পুর্নিয়া কোর্ট স্টেশন থানার ইনচার্জ এম এম রেহমান গত রোববার এই ঘটনায় রাজীবের নামে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। জালিয়াতির এই ঘটনায় তদন্ত চলছে।