তামিলনাড়ুতে বন্যায় চারজনের মৃত্যু
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে ভারী বর্ষণের পর সৃষ্ট বন্যায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার চেন্নাইসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। ২৬৩টি কুঁড়েঘর ও ৭০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মারা গেছে ১৬টি গবাদিপশু। বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সেখানকার তিন শতাধিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
গত শনিবার সকাল থেকে চেন্নাই, চেঙ্গালপেট, কাঞ্চিপুরম ও তিরুভাল্লুর এলাকায় টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শনিবার রাতভর যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে, তা ২০১৫ সালের বন্যাপরবর্তী সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের ঘটনা। আবহাওয়া দপ্তর আভাস দিয়েছে, মঙ্গলবার চেন্নাই, তামিলনাড়ু ও পার্শ্ববর্তী পদুচেরির বিভিন্ন এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
জমে থাকা পানি সরাতে ৫০০টি জায়গায় পাম্প বসিয়েছে চেন্নাই করপোরেশন। সকালের নাশতার জন্য আরও এক লাখ খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে বন্যাদুর্গত মানুষকে খাদ্য, আশ্রয় ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত রোববার বিকেল থেকে এ পর্যন্ত ২ লাখ ২ হাজার ৩৫০টি বন্যাদুর্গত এলাকায় খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।
গ্রেটার চেন্নাই করপোরেশন কমিশনার গগনদীপ সিং বেদি জানান, নর্দমাগুলো ময়লায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানির স্তর ক্রমাগত বাড়ছে। ২১ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতজনিত পরিস্থিতি সামলানোর কাজটা চ্যালেঞ্জের। নর্দমাগুলো পানিতে পূর্ণ হয়ে গেছে। আরও কয়েক দিন ভারী বৃষ্টির আভাস থাকায় উদ্ধারকাজের জন্য কয়েকটি নৌকা মোতায়েন করেছে করপোরেশন।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিনকে রেইনকোট পরে জনগণের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করতে দেখা গেছে। ভারী বর্ষণের কারণে চেন্নাই, তিরুভাল্লুর, চেঙ্গালপেট ও কাঞ্চিপুরম জেলার স্কুলগুলোয় দুই দিনের ছুটি ঘোষণা করেছেন তিনি।
এক আবহাওয়া কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি জানায়, অক্টোবরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মৌসুমি বায়ু শুরু হওয়ার পর থেকে তামিলনাড়ু ও পদুচেরি অঞ্চলে প্রায় ৪৩ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
তামিলনাড়ুর বিভিন্ন এলাকায় ‘থারাইপালাম’ নামক নিচু সেতুগুলো পানিতে ডুবে গেছে। রাজ্য সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ধার অভিযানে সহযোগিতার জন্য দুর্গত এলাকায় চারটি উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করেছে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনী (এনডিআরএফ)।