মুসলিমপ্রধান প্রতিবেশী দেশগুলোর সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দিতে প্রস্তাবিত বিলে বিরোধীদের আনা সব সংশোধনী খারিজ হয়ে গেল। সোমবার যুগ্ম সংসদীয় সিলেক্ট কমিটির বৈঠকে যাবতীয় সংশোধনী খারিজ করার পর জানানো হয়, কমিটির পরবর্তী বৈঠক বসবে ৪ জানুয়ারি। সেই বৈঠকেই পেশ করা হবে নতুন নাগরিকত্ব বিলের খসড়া। ওই বৈঠকে তা অনুমোদনের পর ৭ জানুয়ারি সংসদে বিলের আকারে পেশ করা হবে।
লোকসভার গত নির্বাচনে এটাই ছিল বিজেপির প্রতিশ্রুতি। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলেন, তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ‘অত্যাচারিত সংখ্যালঘুরা’ যদি ভারতে আশ্রয়প্রার্থী হন, তা হলে তাঁদের শরণার্থী হিসেবে গণ্য করা হবে। তাঁরা ভারতের নাগরিক হওয়ার উপযুক্ত বলে গণ্য হবেন। প্রতিশ্রুতি রক্ষায় বিজেপি নাগরিকত্ব বিলে সংশোধন এনে তা পাস করাতে আগ্রহী। সে ক্ষেত্রে ওই তিন দেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিষ্টান নাগরিকেরা চাইলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ওই সময়ের মধ্যে তাঁদের ভোটদানের অধিকার ছাড়া অন্যান্য নাগরিক সুযোগ–সুবিধাও দেওয়া হবে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই কয়েকটি রাজ্যকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিরোধীদের সঙ্গে এই বিলের বিরোধিতা করছে বিজেপির আসাম শাখাও। ওই রাজ্যে বিজেপির শরিক দল অসম গণপরিষদও (অগপ) এই বিলের বিরোধিতা করছে দৃঢ়ভাবে। বিলটি পাস হলে তারা বিজেপির সঙ্গ ত্যাগেরও হুমকি দিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিজেপি সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি পেশ করতে আগ্রহী। তাদের কাছে এটি শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষাই নয়, লোকসভা ভোটের আগে এই বিল ধর্মীয় মেরুকরণে সহায়ক হবে বলেও বিজেপি মনে করছে। যদিও ভোটের আগে এই বিল পাস হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।